আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত এবার আরও তীব্র, আরও প্রবল। গুলি চালিয়ে ভারতের ড্রোন নামিয়েছি, এমনটাই দাবি করেছে পাকিস্তান সেনা কর্তৃপক্ষ।
পাক সেনার দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক সীমান্তের কাছে নজরদারি চালাচ্ছিল ভারতের একটি কোয়াডকপ্টার বাণিজ্যিক ড্রোন। পাক সেনা সেটি দেখতে পেয়ে গুলি চালিয়ে মাটিতে নামিয়ে আনে। পাকিস্তানের মেজর জেনারেল আসিফ ঘাফুর ড্রোনটির ছবিও পোস্ট করেছেন টুইটারে।
তিনি দাবি করেছেন, অগাহি পোস্টের কাছে পাক সীমান্তের ভিতর প্রায় ৬০ মিটার পর্যন্ত ঢুকে এসেছিল চালকবিহীন ড্রোনটি। গুলি করে সেটিকে অগাহির কাছেই নামিয়ে আনা হয় ও দখল নেওয়া হয়।
যদিও পাকিস্তানের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়ে কোনও বক্তব্য বা প্রতিবাদ পেশ করা হয়নি। পাক পররাষ্ট্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ও কোনও অভিযোগ জানায়নি। স্বাভাবিকভাবে, ভারতও বলেনি যে ড্রোনটি নয়াদিল্লিরই।
বরং ভারতীয় সংস্থার গোয়েন্দারা প্রসঙ্গটি এড়িয়েই গিয়েছেন এককথায়। পাক সেনার মিডিয়া শাখার দাবি, রাখ চিকরি সেক্টরের কাছে উড়ছিল ড্রোনটি। ড্রোনে লাগানো ক্যামেরায় ছবি উঠছিল পাক সেনা ও তাদের অস্ত্রশস্ত্রের। তখনই পাক সেনা গুলি চালিয়ে ড্রোনটি নামিয়ে আনে।
পাকিস্তানের এই দাবি অবশ্য এই প্রথম নয়। গতবছরের নভেম্বরে পাক সেনার মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনের সাবেক প্রধান আসিম বাজওয়াও একই দাবি করেছিলেন। সেবারও ভারত এই অভিযোগ স্বীকার করেনি।
তবে এবারের পরিস্থিতি গতবছরের চেয়ে একটু আলাদা। বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণের জন্য সশস্ত্র মার্কিন ড্রোন কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়। নির্মলা সীতারমণ প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সেই দাবি এবার পূরণ হওয়ার পথে।
ভারতকে সশস্ত্র ড্রোনগুলি বিক্রি করতে ট্রাম্প প্রশাসনও রাজি। ভারতীয় বিমানসেনা ওই ড্রোনগুলি ব্যবহার করবে। ড্রোনগুলি হাতে পেয়ে গেলে সেনার শক্তি বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। অন্তত ৮০-১০০টি এরকম ড্রোন চায় ভারত।
সবমিলিয়ে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হতে পারে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে। পাকিস্তান কোনওমতেই চায় না ড্রোনগুলি হাতে পাক ভারতীয় সেনা। শুক্রবারই ভারতকে সশস্ত্র ড্রোন বিক্রির নিয়ে আমেরিকার কাছে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান।
পাক পররাষ্ট্র মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বলেছেন, আমেরিকা ড্রোন বিক্রি করলে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সশস্ত্র ড্রোন পেলে ভারত আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। সামরিক ‘মিসঅ্যাডভেঞ্চার’ শুরু করবে নয়াদিল্লি।
এমটিনিউজ/এসএস