আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চার বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মীঘাতী হলেন এক মা৷ জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মামলা করেই এই মর্মান্তিক পরিণতি হলো স্ত্রীর। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন পর্বে বাপের বাড়িতে এসে থাকছিলেন ওই মহিলা৷
শুক্রবার বিকালে বাড়িতে বাবা-মা কেউ না থাকার সুযোগে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই মহিলা৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার অন্তর্গত জামবনি গ্রামে৷ মৃতা মহিলা সুমনা মণ্ডল (২৯), ছেলে অরণ্য মণ্ডল (৪)৷
এই গ্রামের সুমনা মণ্ডলের সঙ্গে চন্দ্রকোনা রোড এলাকার বাসিন্দা তথা শিক্ষক অরূপ মণ্ডলের বিয়ে হয়েছিল বছর ছয়েক আগে৷ বিয়ের দু’বছর পরে তাঁদের পুত্রসন্তান হয়৷ সম্প্রতি কোনও কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়াতে পারিবারিক বিবাদ দেখা দিয়েছিল৷
পরিস্থিতি মিউচুয়াল ডিভোর্স পর্যন্ত গড়িয়েছিল৷ কয়েক মাস ধরে মেদিনীপুর আদালতে এই মামলা করে সুমনা ছেলেকে নিয়ে শালবনিতে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন৷ শুক্রবার সুমনার বাবা ব্যবসার কাজে বাইরে গিয়েছিলেন৷ সুমনার মা ডিভোর্স মামলার বিষয়ে মেদিনীপুরে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন৷
সন্ধে নাগাদ সুমনার মা অলকা মণ্ডল বাড়িতে ফিরে দেখেন, ঘরের মধ্যে মেয়ের দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে৷ পাশেই খাটে পড়ে রয়েছে নাতি অরণ্যের নিথর দেহ৷ এরপরই চেঁচিয়ে কান্না জুড়ে দেন তিনি৷
এরপর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর দেওয়া হয় পিড়াকাটা ফাঁড়িতে৷ পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণে হয়তো ওই মহিলা ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন৷
মৃতার মা অলকা মণ্ডল বলেন, “ডিভোর্স নিয়ে খানিকটা চিন্তায় ছিল, তবে এটা বুঝতে পারিনি যে এভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটাবে৷ এখন আমার সব শেষ হয়ে গেল৷” ওই মহিলার কাকা বলেন, “সুন্দর ও ভদ্র স্বভাবের মেয়ে ছিল ও৷
শুধুমাত্র স্বামীর অত্যাচারের কারণে এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য হল সে৷ ওঁর স্বামী পেশায় শিক্ষক হলেও খুবই নির্মম ও অসভ্য ছিল৷ তাঁর কারণে ডিভোর্সের মামলা করে অবসাদে ভুগছিল মেয়েটা৷ এই সমস্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷” -এবেলা
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস