আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের পরমবন্ধু ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদিন। ৩৪ বছর আগে ২৮ বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তার দেহ। তার নিজের দেহরক্ষীরাই তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়৷
বিবিসির খবর অনুযায়ী, গুলি খাওয়ার পর ইন্দিরাকে নিয়ে যাওয়া হয় এইমসে। ৮০ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো যায়নি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তিন চিকিত্সক- জগদেব সিং গুলেরিয়া, এমএম কাপুর এবং এএস বলরাম অনেক চেষ্টা করেছিলেন। সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ইন্দিরাকে প্রথম গুলি ছোঁড়ে তার দেহরক্ষী বিয়ন্ত সিং। তিনটি বুলেট পাকস্থলি, বুক-পিঠ, বাহুমূল ভেদ করে চলে যায়। পরে থম্পসন অটোমেটিক কার্বাইন থেকে গুলি ছুঁড়ে আর এক দেহরক্ষী সতবন্ত সিং ঝাঁঝরা করে দেয় ইন্দিরার দেহ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয়৷ তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই ৩১ অক্টোবর৷
ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রভাবশালী নেহেরু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করায়, তিনি এক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেন। তার পিতামহ মতিলাল নেহেরু একজন প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা ছিলেন।
তার পিতা জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷
এমটিনিউজ/এসএস