আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডোকলামের পর এবার ব্রহ্মপুত্র নদী৷ তিব্বত থেকে চীনের জিনজিয়াং এলাকা পর্যন্ত খোঁড়া হচ্ছে লম্বা ১০০০কিমি সুড়ঙ্গ৷ ব্রহ্মপুত্র নদীর জল চীনের তাকলামাকান মরুভূমিতে প্রবেশ করানোই এর মূল লক্ষ৷ তাই ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ৷ সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে এটিই হতে পারে বিশ্বের সবথেকে বড় সুড়ঙ্গ৷ এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ইতিমধ্যেই এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা৷ তিব্বতে এই নদীর নাম ইয়ারলুং সাংপো৷ সেখান থেকেই এই নদীর গতিমুখ ঘুরিয়ে নেওয়া হবে৷ তিব্বত থেকে এটি প্রবেশ করবে ভারতে৷ আর এরপরই এই নদীর নাম পরিবর্তিত হয়ে গিয়ে হবে ব্রহ্মপুত্র নদ৷ তবে, এই নদী যদি চীনে প্রবেশ করে তাহলে ভারতের নদীতে জলের ঘাটতি হবে৷ এমনকি খরার সৃষ্টি হতেও পারে৷
হিমালয়ের কৈলাসের কাছে জিমা ইয়ংজিয়ং হিমবাহ থেকে এই নদীর উৎপত্তি৷ যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত৷ এরপর তিব্বতের পূর্বদিক থেকে প্রবাহিত হয়ে এটি অরুণাচল প্রদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করে৷ যখন এর নাম থাকে সিয়ং৷ এরপর অসমের উপর দিয়ে দিহাং নাংমে এই নদীটি বয়ে যায়৷ এরপর দিবং এবং লোহিত নামে আরও দুটি বড় নদী যোগ দেয় এর সঙ্গে এবং সমতলে এসে এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র নদী৷
তবে, তিব্বত থেকেই এই নদীর মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া হবে৷ গতিপথ ঘুরিয়ে এরপর সেটি প্রবেশ করানো হবে চীনের জিনজিয়াংয়ে৷ তবে, মাটির তলা দিয়ে এভাবে সুড়ঙ্গ কেটে নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে নেওয়ার কাজটি মোটেই সহজ নয়৷ এটি যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ৷ একইসঙ্গে পরিবেশগত ত্রুটির কারণে এই সুড়ঙ্গ কাটার কাজটি যথেষ্ট কঠিন হবে৷ এমনটাই মনে করছেন চিনা ইঞ্জিনিয়াররা৷-কলকাতা২৪
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস