আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিমাচল প্রদেশে বিজেপি জিতলে প্রেমকুমার ধুমলই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ স্বয়ং এই ঘোষণা করেছেন। হিমাচলে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে এ ঘোষণা দেন অমিত শাহ।
বিজেপি সভাপতি বলেন, 'এই নির্বাচন বিজেপি লড়ছে ধুমলের নেতৃত্বেই। এই মুহূর্তে তিনি হয়তো রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বরের পর নিশ্চিতভাবেই ধুমল হবেন রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।' কিন্তু নির্বাচনী প্রচার চলার মধ্যে কেন এই ঘোষণা?
কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব মাথাছাড়া দেবে এই আশঙ্কায় যখন গত কয়েক মাস ধরে বিষয়টিকে সযত্নে এড়িয়ে চলছিলেন সকল বিজেপি নেতাই। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যে ওই দলের কোনও নেতা নেই, মূলত এই ইস্যুটিকেই হাতিয়ার করে প্রচার চালাচ্ছিলেন বীরভদ্র সিংসহ বাকি কংগ্রেস নেতারা। তাদের সেই অস্ত্র ভোঁতা করে দিতেই অমিত শাহ আজ প্রেমকুমারের নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন।
দু-দু'বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমারের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকেই তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া সহজ ছিল না বিজেপি-র শীর্ষনেতৃত্বের পক্ষে। কারণ, হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার ছিলেন আরও কয়েকজন। বর্ষীয়ান নেতা শান্তা কুমার তো ছিলেনই। সেই সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাও।
তার ওপর প্রায় এক বছর আগে থেকেই দফায় দফায় হিমাচল সফরে গিয়ে নাড্ডাকে বিজেপি সভাপতি বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন যে, হিমাচলে এবার আসতে চলেছে নতুন মুখ। তবুও প্রেমকুমারেই বাজি মারলেন কীভাবে?
প্রথমত, রাজ্যবাসীর মধ্যে প্রেমকুমারের গ্রহণযোগ্যতা। জনপ্রিয়তার নিরিখে এখনও শান্তা কুমার এবং নাড্ডার চেয়ে অনেকই এগিয়ে তিনি। দ্বিতীয়ত, প্রেমকুমারে বয়স এখন ৭৩। পরের নির্বাচনে তিনি হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাও করতে পারেন। তাই এই নির্বাচনে তাকে দলের মুখ না করলে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠত দলের ভেতরেই। তাই অমিত শাহ কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন।
এমটিনিউজ/এসএস