আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাটি থেকে আকাশে ওড়ার এই কাহিনিকে গল্প মনে হতে পারে। কিন্তু গল্প নয়, সত্যি। আর এই কাহিনির আড়ালে রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক সাফল্যের শীর্ষে ওঠার স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি রাহুলের। কিন্তু মানবিক রাহুল দেখিয়ে দিলেন তাঁর প্রেরণা কী ভাবে এক সাফল্যের সিঁড়ি হতে পারে। দিদিকে হারানোর বেদনা অবসাদের অতলে ঠেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে সাফল্যের বড় উড়ান। সত্যিই এ এক চমকপ্রদ কাহিনি। আর এই প্রেরণা দেওয়ার কাজে নির্ভয়ার ভাই পাশে পেয়েছিলেন এক দিদিকেও। তিনি প্রিয়ঙ্কা বঢরা। রাহুল গাঁধীর দিদি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই পাইলটের আসনে বসতে চলেছেন নির্ভয়ার ভাই। ২০১২ সালে নির্ভয়ার মৃত্যুর পরে তোলপাড় হয়েছিল দেশ। নির্ভয়ার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে কোনও কার্পণ্য দেখায়নি দেশ। কেন্দ্রে তখন ইউপিএ সরকার। কিন্তু সরকারি ভাবে নয়, ব্যক্তিগত ভাবে নির্ভয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ান কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। সেই সময়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া ভাইয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন রাহুল।
২০১৩ সালে রাহুলের উদ্যোগেই নির্ভয়ার ভাই রায়বেরিলির ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। ১৮ মাসের প্রশিক্ষণের মধ্যে বার বার কথা বলেন রাহুল। এখন গুরগাঁওতে একটি বাণিজ্যিক এয়ারলাইনসে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ চলছে।
নির্ভয়ার মা আশাদেবী জানিয়েছেন, শুধু আর্থিক সাহায্য করাই নয়, নিয়মিত টেলিফোনে প্রেরণা দিয়ে গিয়েছেন রাহুল গাঁধী। প্রিয়ঙ্কা বঢরাও নিয়মিত নির্ভয়ার ভাইকে ফোন করে লেখাপড়া ও পরিবারের অন্যদের খোঁজ নেন।
আশাদেবী জানিয়েছেন, দিদির মৃত্যুর পরে শোকে ভেঙে পড়া নির্ভয়ার ভাইকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং চালিয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বিমান চালকের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বলেন রাহুলই। আশাদেবীর কথায়, রাহুল সব সময়ে 'হাল ছেড়ো না' বলে প্রেরণা দিয়েছেন তাঁর ছেলেকে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস