শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৫:৪৮:০৫

ভারতের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শপথ চীনের

ভারতের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শপথ চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে সম্পূর্ণ ভোলবদল করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার চীনা বিদেশ মন্ত্রনালয় তাকে উদ্ধৃত করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ নতুন এক অধ্যায় রচনা করতে চায় বেজিং।

দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে এই প্রথম আগামী ১০ নভেম্বর ভিয়েতনামে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। সেখানে এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন সামিটে যোগ দেবেন তিনি। গত ১৮-২৪ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে নয়া নীতি গৃহীত হয়েছে দলের অন্দরে।

এশিয়ার অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের বৈঠকের অনুমতি মিলেছে। সে দেশের সহকারী বিদেশমন্ত্রী চেন শিআওডং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

ভবিষ্যতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চীন সুসম্পর্ক রেখে চলার অঙ্গীকারও করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সুকৌশলে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ বাণিজ্যিক নীতি নিয়ে কোনওরকম প্রশ্নোত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন চেন শিআওডং।

চীনের এই নয়া কৌশলের উপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি। আবেগে ভেসে না গিয়ে ভবিষ্যতে চীনের পদক্ষেপ মেপে দেখতে চাইছে সাউথ ব্লক। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চিনের আগ্রাসী মনোভাব আগামী দিনে কোনদিকে যায়, দেখে নিতে চায় ভারত ও জাপানের মতো দেশগুলি।

সীমান্ত সংঘাত ইস্যুতেও ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নরমে গরমে। ডোকলামে মাসখানেক আগেও দুই দেশের সেনা যুদ্ধং দেহি মনোভাবে অনড় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সৌজন্যে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলে।

তবে চীন নিজের সেনাকে ঢেলে সাজানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে ভাল চোখে না দেখছে না ভারত। মোদি সরকারও এ দেশের বাহিনীকে আধুনিক করে তোলার উপর জোর দিচ্ছে।

কারণ, মুখে শান্তির কথা বললেও চিনের দু’মুখো নীতিকে কখনই বিশ্বাস করে না ভারত। এর সাম্প্রতিক নজিরও রয়েছে। মুখে জঙ্গিবাদ নির্মূলের কথা বলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাহবা কুড়োতে চাওয়া চীনই মাসুদ আজহারের মতো কুখ্যাত জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দিতে নারাজ।

তলে তলে পাকিস্তানকে সাহায্য করা, পাক জঙ্গিদের অস্ত্র ও প্রযুক্তি সরবরাহ করার মতো অভিযোগও রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। তাই চীন নিয়ে নয়াদিল্লির এখন নীতি, ধীরে চলো। তা সে বেজিং যতই মুখে ভারতকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার কথা বলুক না কেন।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে