সোমবার, ০৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:১১:২৮

‘জাহান্নামের জীবন ছিল সৌদিতে’

‘জাহান্নামের জীবন ছিল সৌদিতে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশি টাকায় প্রায় চার লাখ টাকা বেতনে যখন মালয়েশিয়ার একটি কারখানায় গুরবক কৌরের চাকরির কথা হয় তখন ভেবেছিলেন এবার হয়ত স্বপ্নগুলো সব পূরণ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তার সেই স্বপ্ন পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে।

এর কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকে তিনি বলেন, ট্রাভেল এজেন্টের প্রতারণায় মালয়েশিয়া না পাঠিয়ে আমাকে পাঠানো হয় সৌদি আরবে। সেখানে ২০ সদস্যের এক পরিবারের গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে থাকি আমি। সেখানে জাহান্নামের মধ্যে বেঁচে ছিলাম আমি। কারণ তাদের সকল কিছু পরিষ্কার করে আমাকে প্রতিদিন রাত ২টার পর ঘুমাতে যেতে হত। তারা আমাকে খাবারও দিত না। তাদের এঁটো প্লেটে যা পড়ে থাকত আমাকে তাই খেতে হত।

তিনি বলেন, প্রতিদিন ২০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করার পরও তারা আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত এবং অনেক সময় লাঠি দিয়ে মারধরও করত। তিনি দাবি করেন, আমাকে কখনোই বাসার বাইরে যেতে দিত না। তবে আড়াই মাস পরে তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দয়ে। বৈধ কাজগপত্র না থাকায় ওই সময়ে পুলিশ আমাকে আটক করে।

ভারতীয় নারী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারাও খুবই নিষ্ঠুর ছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে আমার সঙ্গে আরও আটজন বাংলাদেশি তরুণী ছিলেন যাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৫ বছর। পুলিশ আমাদের প্রত্যেককেই পিটিয়েছে। কারও মেয়ে কিংবা বোনকে সৌদি আরবে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে কৌর বলেন, দেশটি নারীদের জন্য জাহান্নাম।

মুক্তি পাওয়া সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করি। এরপর সৌদির একটি পরিবার আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। তারা আমাকে জামিনে জেল থেকে বের করে এনে তাদের কাছে দুদিনের জন্য রাখে। ভারতীয় দূতাবাস এবং সেখানে থাকা পাঞ্জাবী যুবকের সহায়তায় আমি দেশে ফিরতে পেরেছি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে