সোমবার, ০৬ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৬:১৪

‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে সৌদি আরবে হামলা’

‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে সৌদি আরবে হামলা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনিবার সৌদি আরবের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের তৈরি বলে দাবি করেছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র তুর্ক আল মালিকি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, হুথি বিদ্রোহীরা যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটি ইরানের তৈরি। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী এ ধরনের অস্ত্র উৎপাদন করতে পারে না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পও এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মালিকি ‘ভলকানো-১’ ও ‘ভলকানো-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি ছবি দেখিয়ে বলেন, ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্রের চোরাচালান ঢুকছে এটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

হুথিরা সৌদি আরবের সীমান্তের ৫০ হাজার মাইন পুঁতে রাখার জন্য পরিকল্পনা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এর আগে শনিবার সৌদি আরবের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।

তবে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিমানবন্দরের বাইরে সেটি বিধ্বস্ত করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে এ হামলায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। হুথিদের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, ‘৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়। কারণ সৌদি সরকার আমাদের নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। তাই তারা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা পাবে না’।

উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দমনের জন্য ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে বিমান হামলা শুরু হয়। কয়েক মাস আগে এ অভিযান শেষ করে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের হামলায় ইয়েমেনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা যান এবং আহত হন ৪০ হাজার।

সর্বশেষ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে হামলায় বিধ্বস্ত এলাকায় কয়েক লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে