আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৬ বছরের লড়াই শেষে ভারতের নাগরিকত্ব মিলেছিল বছর খানেক আগেই। এবার সেই পাকিস্তানি মহিলা ভারতীয় নাগরিকত্বের স্বীকৃতির প্রতিদান স্বরূপ বিজেপিতে যোগদান করলেন।
গুজরাত ভোটের আগে বিজেপির সাফল্যে নয়া পালক যুক্ত হল। তারা পাকিস্তানি ওই মহিলাকে নিজেদের দলে যোগদান করাতে সমর্থ হলেন। ডিম্পল বিরানদানি নামে বছর ৪১ বছরের মহিলা ১৯৯০ সালে পাকিস্তান ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতে।
তখন থেকেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তার লড়াইয়ের স্বীকৃতি পান ২০১৬ সালে। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সময় তিনি ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করেন।
সেই মহিলাই এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, ২৬ বছরের লড়াই শেষে মোদি সরকারের আমলে নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। তাই বিজেপিতে যোগ দিলেন।
ডিম্পল ১৯৯৯ সালে এক হিন্দুকে বিয়ে করে দুবাই পাড়ি দিয়েছিলেন কর্মসূত্রে। সেখান থেকেই তিনি ভারতে ইউপিএ সরকারের সময় নাগরিকত্বের আবেদন করেন। কিন্তু সে অর্থ সাড়া পাননি ডিম্পল। বিয়ের পর প্রতি বছর একবার ভারতে আসতেন।
২০১৬ সালে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর তিনি বিজেপির সিদ্ধান্তে খুশি। বিজেপিতে যোগদানের পর ডিম্পল বলেন, মোদি ক্ষমতায় আসার পর এই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব পেতে সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, বহু পাকিস্তানি হিন্দু এর আগে ভারতে চলে এসেও নাগরিকত্ব সমস্যায় ভুগতেন। শুধুমাত্র গুজরাটের আমেদাবাদ শহরেই ১০ হাজার পাকিস্তানি হিন্দু রয়েছে বলে তার দাবি। বিজেপি সরকারের সময় আমার মতো পাকিস্তান ত্যাগী হিন্দুরা নিরাপদ বোধ করছেন বলে অভিমত ডিম্পলের।
উল্লেখ্য গত মাসেই ৪৩১ জন পাকিস্তানিকে ভিসা দিয়েছে ভারত সরকার। এদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। এরা এবার প্যান কার্ড ও আধার কার্ডও পাবেন বলে আশ্বা মিলেছে মোদি সরকারের তরফে। তারা এ দেশে জমি-বাড়িও কিনতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষিত নীতিই ছিল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ছেড়ে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হলে সাহায্য করবে বিজেপি সরকার। সেই মতোই ভারত সরকারের সাহায্য পেয়ে বিজেপির শক্তি বাড়াচ্ছেন ডিম্পলরা।
এমটিনিউজ/এসএস