পাঁচ মিনিটেই অন্ধের চোখে আলো!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি এক লক্ষেরও বেশি মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দিয়েছেন।সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো ডাক্তার এতো রোগীকে সুস্থ করতে পারেননি।
এখনো হিমালয়ের কোল অথবা সভ্যতার আলো বঞ্চিত দূরের কোনো গ্রাম থেকে প্রতিনিয়ত দৃষ্টিহীন রোগীরা অন্যের সাহায্যে টলতে টলতে হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে তার কাছে চোখের আলো ফিরে পাবার আশা নিয়ে আসে।
মাত্র ৫ মিনিটের একটি অপারেশনের মাধ্যমে হাজারো মানুষের চোখের ছানি সারিয়ে সুস্থ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষে পরিণত করে দেন তিনি। চোখের ছানি অপারেশনের একদিন পরই তিনি রোগীর চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দেন এবং তারপর তারা পরিষ্কার দেখতে পান।
প্রথমে মিটমিট করে, তারপর আনন্দের সাথে চোখ খুলে চারদিকের আলো ঝলমলে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে নির্বাক হয়ে যান।কয়েক ঘণ্টা পরেই তারা নিজেরা হেঁটে বাড়ি চলে যান।
যার অসামান্য অবদানে হাজার হাজার মানুষ অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি হলেন- নেপালের চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাক্তার সান্দুক রুইত।
বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ অন্ধ এবং এর অর্ধেকই ছানি পড়ার কারণে অন্ধত্বের শিকার।আরো প্রায় ২৪ কোটি মানুষ অন্ধত্ব বরণের হুমকির সম্মুখীন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আপনি যদি কোনো দরিদ্র দেশের গরীব অন্ধ হন সাধারণত আপনার চোখ ভালো হবার কোনো আশা নেই। কিন্তু ডাক্তার রুইত চোখের ছানি দূর করার এমন একটি যুগান্তকারী পদ্ধতি বের করেছেন যার জন্য প্রত্যেক রোগীকে মাত্র ২৫ ডলার বা ২০০০ টাকারও কম খরচ করতে হবে।
খরচ কম হবার কারণে গরীব–ধনী সব শ্রেণি-পেশার রোগীরই সমাগম ঘটে ডাক্তার রুইতের চেম্বারে। অত্যন্ত আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্য তার অপারেশনে সুস্থ হননি এমন রোগী পাওয়া দুষ্কর।
ডাক্তার রুইতের এই ‘নেপালি পদ্ধতি’ বর্তমানে আমেরিকার মেডিকেল কলেজগুলোতেও পড়ানো হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
১১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ