আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবমেরিন থেকে পরমাণু হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান। আর এর আগাম প্রস্তুতি হিসাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে একটি সাবমেরিন থেকে বাবর-৩ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করেছে। গত জানুয়ারিতে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি উপকূল দিয়ে উড়ে দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে দেখা যায়।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর পাল্লা ৪৫০ কিলোমিটার।
বাবর-৩ পাকিস্তানের সেকেন্ড ক্যাপাবিলিটি তথা দ্বিতীয় স্থান থেকে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। এর ফলে দেশটি পরমাণু হামলার শক্তিশালী জবাব দিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এই মাইলফলক অর্জনের জন্য বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী দলকে অভিনন্দিত করেছেন।
পাকিস্তানের সাথে ভারতের তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান এই পরীক্ষা চালায়।
বিশ্বের খুব কম দেশেরই সেকেন্ড ক্যাপাবিলিটি রয়েছে। সাধারণত স্থল ভাগ থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র্রের সাহায্যে হামলা চালানোর ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু শত্রুর আকস্মিক কোনো হামলায় স্থলভাগের ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস বা অকার্যকর হয়ে গেলে দ্বিতীয় একটি ব্যবস্থা থাকে। এই চিন্তার আলোকেই সাগরে বিকল্প কেন্দ্র রাখা হয়। সাবমেরিনে পরমাণু অস্ত্র মজুত রেখে সেখান
থেকে জবাব দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস