‘ভারতের জন্য প্রধান হুমকি পাকিস্তান-চীন’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা চীন, পাকিস্তান এবং নক্সালপন্থি নামে পরিচিত মাওবাদী গেরিলা গোষ্ঠীকে ভারতের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাজধানী দিল্লিতে ১২তম সুব্রত মুখার্জি সেমিনারের উদ্বোধনী ভাষণে এ কথা বলেছেন তিনি। খবর রেডিও তেহরান।
উপমহাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নয়াদিল্লির জন্য মারাত্মক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি। অরূপ রাহা বলেন, কৌশলগত লক্ষ্যকে সামনে রেখে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাড়ছে। আর এটি ভারতের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা নীতির ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, সব প্রতিবেশীর সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে চীন। এ ছাড়া, টিএআর নামে পরিচিত স্বায়ত্ত্বশাসিত তিব্বত অঞ্চলের অবকাঠানোর উন্নয়ন করছে বেইজিং। সেইসঙ্গে, দাওচেং ইয়াদিং-এ তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত বিমানবন্দর, কিংহাই প্রদেশের শিনিয়াং-এ তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে উচ্চতায় অবস্থিত রেললাইন। এই রেললাইন তিব্বত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বেইজিং।
পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর এবং ইসলামাবাদ নিয়ন্ত্রণ আজাদ কাশ্মিরের মধ্য দিয়ে চীনের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের কথাও উল্লেখ করেন এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা। তিব্বত থেকে ভারতের সীমান্ত পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন তিনি। ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান চীনের এসব পদক্ষেপকে কৌশলগত তৎপরতা হিসেবে তুলে ধরে দাবি করেন, ভারতকে কোণঠাসা করাই এসবের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে নিজ উপস্থিতির প্রমাণ দেয়ার লক্ষ্যে জলদস্যু নিয়ন্ত্রণের নামে সাবমেরিন পাঠাচ্ছে চীন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, বাইরের চ্যালেঞ্জের চেয়ে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ আলাদা করা কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক অতীতে নক্সালবাদ ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একক এবং বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
এ ছাড়া মাওবাদী গেরিলাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ভূমিকাও তুলে ধরেন এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা। তিনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ১৫,১০০ দফা অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া, এসব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ৭৪,০০০ পুলিশ ও ১,৬০০ টন মালামাল বহন করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ছয় বছরে ১,০০০ আহত ব্যক্তি এবং বহু নিহত ব্যক্তির দেহাবশেষও বহন করা হয়েছে।
১১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�