গরুর গোশত খেলে অনেক রোগ সারে : পিএম ভার্গব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরীরের নানা রোগ নিরাময়ে একমাত্র ওষুধের কাজ করে গরুর গোশত। আয়ুর্বেদে রোগীদের গরুর গোশত খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। মোদির সরকার আসলে বিজ্ঞান সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞান। পদ্মভূষণ পুরস্কার ফিরিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে চিঠি দিয়ে একথাই জানালেন প্রবীণ বিজ্ঞানী পিএম ভার্গব। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে।
সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী পিএম ভার্গব যে আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন তা আগেই জানিয়েছিলেন। ২৯ অক্টোবর আমরাই প্রথম জানাই, দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে ৮৫ বছর বয়সি এই বিজ্ঞানী ১৯৮৬ সালে পাওয়া পদ্মভূষণ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুরস্কার ফিরিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে ৬ নভেম্বর যে চিঠি দিয়েছেন, তাতেই তিনি উল্লেখ করেছেন গরুর গোশত প্রসঙ্গ। চলমান সংহিতায় একথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, 'গ্যাস সমস্যা, অনিয়মিত জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, কঠোর পরিশ্রমের জন্য অত্যধিক খিদের থেকে শরীরে যাদের ডিসঅর্ডার দেখা দেয়, যারা এই কারণে অত্যধিক রোগা হয়ে যান, তাদের জন্য গরুর গোশত অত্যন্ত উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।'
দাদরি প্রসঙ্গের উল্লেখ করে ভার্গব রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন, 'মহম্মদ ইখলাকের ঘটনা ঘটিয়েছে সম্ভবত BJP-রই কেউ। তারা এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে, আমরা কি খাব সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে BJP-ই। ঠিক যেভাবে তারা আমরা কি পরব, কাকে ভালোবাসব, কি পড়ব সেটাও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।'
মোদি সরকারকে বিজ্ঞানের বিষয়ে অজ্ঞান বলে তোপ দেগে ভার্গব জানিয়েছেন, 'আমি ৬৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন পেশাদার বিজ্ঞানী। স্বাধীনতার পর থেকে আমাকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। আমি লক্ষ করেছি, বর্তমান সরকার বিজ্ঞান সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞান এবং আদৌ চিন্তিত নয়। বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ধর্মীয় রক্ষণশীলতার পরিবেশ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যা প্রভাব ফেলছে উন্নয়নে।' অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরির জন্য চিঠিতে সরাসরি BJP ও RSS-কে দায়ি করেছেন প্রবীণ এই বিজ্ঞানী।
১১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�