সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৯:২৭:১৭

ছাত্রের অপেক্ষায় ঘরের আলো নিভিয়ে রেখেছিলেন তিনি, অতঃপর....

 ছাত্রের অপেক্ষায় ঘরের আলো নিভিয়ে রেখেছিলেন তিনি, অতঃপর....

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ছাত্রের অপেক্ষায় ঘরের আলো নিভিয়ে চারপাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এমন সময় মেসেজ পান ছাত্রের। জানতে পারেন সে এসে গিয়েছে। উত্তরে মেসেজ করেন, ''ভিতরে এসো। দরজা খোলাই রয়েছে।'' কিন্তু তার পরই চমকে উঠে দেখলেন দরজা খুলে ঢুকছে পুলিশ! বুঝতে পারলেন ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন।

আমেরিকার ওকলাহোমার শিক্ষিকা হান্টার ডে এখন শ্রীঘরে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ২২ বছরের হান্টার ওকলাহোমার ইউকন হাইস্কুলে রসায়ন পড়ান। এক ছাত্রের সঙ্গে দৈহিক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। ছাত্রটির বাবা-মা বুঝতে পারছিলেন তাঁদের সন্তান সম্ভবত দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়েছে কোনও শিক্ষিকার সঙ্গে। পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
 
শিক্ষিকা হান্টার ডে। কানাডিয়ান কান্ট্রি শেরিফের অফিসের ফেসবুক থেকে এর পর ওই ছাত্রের ফোনটিকে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় সবকিছু। দেখা যায়, অভিভাবকদের অনুমান একেবারে সঠিক। এরই মধ্যে নিজের শিক্ষিকার সঙ্গে মিলিত হয়েছে ছাত্রটি। এবং বুধবার আবার একই কর্ম করতে চলেছে তারা।

এর পরই ছাত্রের মোবাইল থেকে তার হয়ে মেসেজ পাঠিয়ে ফাঁদ তৈরি করে পুলিশ। সেই ফাঁদে অনায়াসেই পা দেন শিক্ষিকা হান্টার ডে। তিনি ছাত্রকে জানিয়ে দেন, তাড়াতাড়ি আসতে। যাতে তাঁর স্বামী ফেরার আগেই বাড়ি থেকে চলে যেতে পারে সে। এর পরই পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তাঁকে।

ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের প্রতিক্রিয়া, এমন একটি ঘটনা বিশ্বাসভঙ্গের চরম উদাহরণ। শিক্ষকদের উপরেই ভরসা করেন অভিভাবকরা। ভাবেন, তাঁরাই তাঁদের সন্তানদের রক্ষা করবেন ও তাঁদের ভবিষ্যত্‍ গড়ে দেবেন। সেই জায়গায় ছাত্রের সঙ্গেই শিক্ষিকার এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা অত্যন্ত অনৈতিক। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হান্টার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। --এবেলা

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে