রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:০২:২৯

রাহুলকে ধার নিতে হয় মায়ের থেকে, অবাক তথ্য দিচ্ছে হিসেব

রাহুলকে ধার নিতে হয় মায়ের থেকে, অবাক তথ্য দিচ্ছে হিসেব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  :  নয়াদিল্লির দশ নম্বর জনপথবাসিনীকে নিয়ে অনেক কৌতূহল সাধারণ মানুষের। গাঁধী পরিবারের ‘পুত্রবধূ’, ‘বিদেশিনী’ এমন অনেক আক্রমণ সইতে হয়েছে তাঁকে। তবে রাজনীতিক হিসেবেও যে তিনি হেলাফেলার নন, তা মনমোহন সিংহকে প্রধানমন্ত্রী করে ইউপিএ-র ‘অন্তরাত্মা’ হিসেবে পর পর দু’টি সরকার চালিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

অতীতে সনিয়া গাঁধীর সম্পত্তি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। একটি ওয়েবসাইট বিশ্বের ধনী ২০ জন রাজনীতিকের একটি তালিকা তৈরি করে সেখান ১২ নম্বরে রাখে সনিয়াকে। বলা হয়ে সম্পত্তির হিসেবে তিনি নাকি রানি এলিজাবেথের থেকেও ধনী। তবে সনিয়ার ঘোষিত সম্পত্তি মোটেও অত বেশি নয়।

দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যা সোনিয়া এখন উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্রের সাংসদ। তবে তাঁর থেকেও বড় তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী। দল ক্ষয়িষ্ণু হলেও সনিয়া গাঁধী সম্পত্তির দিক থেকে মোটেও ক্ষয়িষ্ণু হননি। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে নিজের সম্পদের যে হিসেব তিনি নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দিয়ে পেশ করেছেন, তাতেই প্রমাণ তাঁর আগের পাঁচ বছরে সম্পত্তি বাড়ে প্রায় ৮ কোটির।

সনিয়ার পেশ করা হিসেব বলছে, ২০০৪ সালে তাঁর সম্পত্তি ছিল ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৪ টাকার। সেটা ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ টাকা। আর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেটাই ছিল প্রায় দশ কোটি টাকার। ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৮ টাকা।

রাজনৈতিক নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে সমীক্ষা চালানো সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ’ সেই হিসেব বিস্তারিত তুলে ধরেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সনিয়া গাঁধীর নামে সোনাদানা কোটি খানেক টাকার মধ্যে হলেও চাষের জমিই রয়েছে সাড় ছয় কোটি টাকার। দিল্লির সুলতানপুরে এই চাষের জমির পরিমাণ, ৩.৮১ একর। আর ইতালিতে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির মূল্য— প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা।

রাহুলকে ধার নিতে হয় মায়ের থেকে, অবাক তথ্য দিচ্ছে হিসেব। সনিয়ার ২০১৪ সালে ঘোষণা করা হিসেবে রয়েছে এক মজার তথ্য। ছেলে, কংগ্রেসের সহ-সভাপতি, অমেঠির সাংসদ রাহুল গাঁধী ২০১৩ সালের অক্টোবরে মায়ের থেকে ৯ লাখ টাকা ধার করেন। নির্বাচন কমিশনকে সেই হিসেবই দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে