আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বামীর সাথে মেয়ে কথা বলেছে জেনে বেজায় চটেছেন হাদিয়ার বাবা। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন। মেয়ে 'লাভ জিহাদে'র শিকার এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে আদালতেও অনড় ভারতীয় নও-মুসলিম হাদিয়া।
আদালত হাদিয়াকে কলেজে পড়ার অনুমতি দিলেও স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারবে কিনা সেবিষয়ে কিছু জানায়নি। যদিও আদালতে বারবার হাদিয়ে বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেছেন।
কিন্তু হাদিয়ার পরিবার তা মানতে নারাজ। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবারই হাদিয়া সালেমে তার কলেজে পৌঁছন। বুধবার দিন কলেজের ডিনের ফোন থেকে স্বামী জাহানের সঙ্গে কথা বলেন হাদিয়া।
শিবরাজ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের ডিন জি খান্নান জানিয়েছেন, আমি হাদিয়ার লোকাল গার্জেন। কাজেই আমার ফোন থেকে সে তার বরের সঙ্গে কথা বলেছে। এর মধ্যে আপত্তি করার কিছু নেই। 'লাভ জিহাদে'র মামলা দায়ের হওয়ার পর বর সাফিন জাহানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন হাদিয়া।
দেখা সাক্ষাৎ তো দূরের কথা মোবাইল ফোনেও তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। গত কয়েক মাস ধরেই আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। আমি ভীষণ ভাবে তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম, বলে জানিয়েছেন হাদিয়া।
মেডিকেল কলেজের ডিন জানিয়েছেন, হাদিয়া প্রাপ্ত বয়স্ক এবং স্বাধীন। কার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং দেখা করবেন সেটা তার সিদ্ধান্ত। কেউ তাকে বাধ্য করতে পারে না। যদিও কলেজের এই মনোভাবের প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন হাদিয়ার বাবা। তিনি কলেজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, হাদিয়া জানিয়েছেন, তিনি জেনেবুঝে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। স্বামীকে তিনি ভালোবাসেন। স্বামীর ঘরেই ফিরে যেতে চান। কিন্তু উগ্রবাদী হিন্দুরা সেটা মেনে নিতে নারাজ। এ প্রেক্ষাপটেই মামলা দায়ের করা হয়।
৩০ নভেম্বর ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর