বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৪৫:০৯

অল্পবয়সী যুবকের সাথে বিছানায় মেতেছিলেন স্ত্রী, মুণ্ডচ্ছেদ করে হাজতে স্বামী

অল্পবয়সী যুবকের সাথে বিছানায় মেতেছিলেন স্ত্রী, মুণ্ডচ্ছেদ করে হাজতে স্বামী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বয়সে বছর তিনেকের ছোট। অল্পবয়সি পড়শি যুবকের সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী। স্বামীর চোখে ধুলো দিয়েই চলছিল সম্পর্ক। তা গড়ায় বিছানায়।

ঘর ছেড়ে গরুর গোয়ালেই সেদিন বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে লিপ্ত হয় মহিলা। কিন্তু বিধি বাম। হাতেনাতে ধরে ফেলে স্বামী। তারপরই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি ওই ব্যক্তি। স্ত্রী ও তার অবৈধ প্রেমিকের মুণ্ডচ্ছেদ করে। বছর দুয়েক আগে গঙ্গাজল ঘাঁটি থানা এলাকার ঘটক গ্রামের এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছিল। অবশেষে বাঁকুড়া আদালত আজীবন কারাবাসের সাজা দিল ওই ব্যক্তিকে।

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বাসিন্দা ভৈরব কুণ্ডু। স্ত্রী জ্যোৎস্নার সঙ্গে সুখের সংসারই ছিল বলা যায়। কিন্তু তাতে বিষ ঢালে স্ত্রীর অবৈধ প্রেম। স্ত্রী যে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি ওই ব্যক্তি। এদিকে তলেতলে সম্পর্ক গড়িয়েছিল অনেকটাই।

জানা গিয়েছিল, পথিক ঢাং নামে ওই যুবক বয়সে জ্যোৎস্নার থেকে বছর তিনেকের ছোট ছিল। কিন্তু বয়স সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। স্বামীকে অন্ধকারে রেখেই গোপনে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল জ্যোৎস্না। একসময় তা গড়ায় বিছানায়। ঘটনার সূত্রপাত সেখানেই।

ভৈরবের অভিযোগ ছিল, পথিকের সঙ্গে জ্যোৎস্নাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় হাতনাতে ধরে ফেলে সে। স্বামীর চোখে ধুলো দিতে বাড়ির গোয়ালঘরকে বেছে নিয়েছিল অবৈধ প্রেমিক যুগল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যায় ভৈরবের হাতে। স্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি ভৈরব।

ধারাল অস্ত্রের কোপে হত্যা করে স্ত্রীকে। তার রোষ থেকে রেহাই পায়নি পথিকও। তারও একই পরিণতি হয়। ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুদিন ফেরার ছিল ভৈরব। তদন্তে নেমে ভৈরবকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। বেশিদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি ভৈরব।

ধরা পড়ে পুলিশের জালে। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। প্রায় বছর দুয়েক পর সাজা ঘোষণা হল ভৈরব কুণ্ডুর। স্ত্রী ও প্রতিবেশী যুবককে খুনের দায়ে ভৈরবকে দোষী সাব্যস্ত করে বাঁকুড়া আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর। আজীবন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে