শেষ নিঃশ্বাসে কান্না থামল শিশুটির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মা গেছেন নাইট ক্লাবে। বাসায় রেখে গেছেন এক বছরের ছোট্টো শিশু কেলসিকে। তার দেখবালের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন আট বছরের আরেকটি শিশুর কাছে। নাইট ক্লাবে ক্লান্তি ঝেড়ে ফুরফুরে মেজাজে কাটেরা যখন বাসায় ফিরলেন, তখন ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে তার আদরের সন্তান কেলসির নিথর দেহ।
কীভাবে ফুরিয়ে গেল এই ছোট্ট শিশুর নিঃশ্বাস? যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের বার্মিংহ্যাম পুলিশ জানায়, ছোট্ট শিশু কেলসি একাধারে কাঁদছিল। কিছুতেই কান্না থামাচ্ছিল না সে। কান্না থামানোর জন্য চেষ্টা করে না পেরে চরম বিরক্ত হয় তার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আট বছরের ওই শিশু। চরম ক্ষেপে গিয়ে একাধারে কেলসিকে মারতে থাকে সে। মার খেতে খেতে অবশেষে কান্না থামায় কেলসি। সেই সঙ্গে ফুরিয়ে যায় তার শেষ নিঃশ্বাস।
হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গেছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। কেলসির মা ২৬ বছর বয়সি কাটেরা লেউস তার রুমমেটের সঙ্গে নাইট ক্লাবে যান। তখন রাত ১১টা। ঘরে থাকে কাটেরা ও তার রুমমেটের দুই শিশু। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেলসিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে কাটেরার রুমমেটের আট বছরের ছেলেটি।
পুলিশ জানিয়েছে, আট বছরের কোনো শিশু অন্য কারো দায়িত্ব নিতে পারে না। কিন্তু কাটেরা তার মেয়ে কেলসির দায়িত্ব দিয়ে যান এক বালকের কাছে। যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে কোনো স্বাভাবিক শিশু কি এতটা হিংস্র আচরণ করতে পারে- এখন এ নিয়ে আলোচনা চলছে । সেই সঙ্গে পুলিশ ঘাতক শিশুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। - সিএনএন
১৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ
�