দুই রাষ্ট্র প্রধানকে বৈঠকে ডাকলেন সু চি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মায়ানমারে সু চি-র ঐতিহাসিক জয়৷ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে গণতান্ত্রিক নেত্রী আং সান সু চি-র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)৷ ১৯৯০ সালের পর ২০১৫ সালে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয় সু চি-র দল৷ মায়ানমারের ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচনের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে এগিয়ে এনএলডি৷ জয়ী ৩৪৮টি আসনে৷
মায়ানমারের গত পাঁচ দশকের রাজনৈতিক পরিবেশ বদলাতে চলেছে আং সান সু চি-র হাত ধরে৷ জনগণের রায়ে সামরিক জান্তা শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যপাট সামলাবে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি৷
বিপুল ভোটে জয়ী হলেও, এই দেশের বর্তমান সামরিক জান্তর রচিত সংবিধান অনুযায়ি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না সু চি৷ কারণ, এই সংবিধান অনুসারে পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন পাকাপাকিভাবে রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে৷ তাছাড়া, বার্মার মুক্তিসূর্য আং সানের কন্যার বরাবরের জনপ্রিয়তায় উৎকণ্ঠিত সামরিক প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবেই এই সংবিধানে এমন একটা শর্ত জুড়েছে যার দরুন সু চি-র সন্তানরা বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি ওই দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না৷ তাই এখন মায়ানমারের রাজনৈতিক মহল সহ গোটা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি কথা, ‘অ্যাভাব দ্য প্রেসিডেন্ট’৷ অর্থাৎ, দেশের প্রেসিডেন্টের ঊর্ধ্বে জননেত্রী৷ সাংবিধানিক গণ্ডি অতিক্রম করে সু চি-কে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক হিসেবে বরণ করেছেন অধুনা মায়ানমার তথা সাবেক বার্মার সাধারণ মানুষ।
তবে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এখন এনএলডি’র সামনে আর কোনও বাধা নেই৷ আইন তৈরির জন্য কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না সু চি-র দলকে৷ নির্বাচনের ফলাফল পরিষ্কার হয়ে যেতেই সু চি তার স্বভাবসিদ্ধ বিনয়ে ‘জাতীয় পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা’র ডাক দিয়েছেন৷ এখন যিনি মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট সেই থেইন সেইন এবং সেনাপ্রধান মিন আং হ্লাইংয়ের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসতে চেয়েছেন৷ মায়ানমারের এই দুই রাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও অবশ্য এনএলডি-র জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন৷ বলেছেন, জনগণের এই রায়কে শিরোধার্য করে বিশ্বগোষ্ঠীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মায়ানমারে ক্ষমতার হাতবদল হয়, সেটা তারা অবশ্যই দেখবেন৷-কলকাতা ২৪।
১৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�