আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেরুজালেমই ইজরায়েলের রাজধানী, দৃঢ় ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই সিদ্ধান্তে মার্কিন-বন্ধু দেশগুলি গভীর সংশয় প্রকাশ করলেও, নিরপেক্ষ অবস্থানে অনড় থাকতে চায় ভারত। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভারতকে প্রভাবিত করবে না বলেও জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, "ফিলিস্তিনির সঙ্গে স্বাধীনভাবে এবং সামঞ্জস্য রেখে পথ চলবে ভারত। নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করেই এবং স্বার্থ বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে কোনও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব থাকবে না।" ফিলিস্তিনি নিয়ে ভারতের ভূমিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও প্রভাব থাকবে না, তা নাম করে স্পষ্ট করেন রবীশ কুমার।
ক্ষমতায় আসার আগে জেরুজালেমের সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই কথা রাখতে 'সঠিক সময়ে' সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে এই ঘোষণা ঐতিহাসিক। ট্রাম্পের পূর্বসূরি বিল ক্লিনটন থেকে জর্জ বুশ- সবাই জেরুজালেমের সমস্যা মেটানোর 'সদিচ্ছা' দেখালেও, পরে কূটনৈতিক কারণে পিছিয়ে এসেছেন।
বুধবার জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণার সময় ট্রাম্প বলেন, "অনেক রাষ্ট্রপতিই এই বিষয়ে কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত করেননি।" হোয়াইট হাউস থেকে তিনি বলেন, "জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী করার সিদ্ধান্তের এটাই সঠিক সময়। এটা এখনই করা উচিত।" রাজধানী করার পাশাপাশি তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরিত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মধ্য প্রাচ্যের অধিকাংশ দেশই অসন্তোষপ্রকাশ করেছে। 'হোলি জেরুজালেম'কে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেওয়ায় নতুন করে অশান্তির সূচনা হবে বলে আশঙ্কিত আরব দেশগুলি। এই জেরুজালেমকে ঘিরে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদিদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগ রয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,"এটি উদ্বেগের বিষয়। একেই গোটা বিশ্বে অরাজকতা তৈরি হয়েছে, সেদিকে সমাধানের পথে না গিয়ে নতুন করে অশান্তির ইন্ধন জোগানো সত্যিই দুর্ভাগ্যের।" পোপের সতর্কবাণীর পাশাপাশি সৌদি আরব, মিশর, জর্ডন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং তুরস্কও সমালোচনার পথে হেঁটেছে।
এমটিনিউজ/এসএস