বিস্ফোরণ থেকে বুলেট, নিখুঁত ছকে অপারেশন!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব মিলিয়ে মেরেকেটে ঘণ্টা দেড়েক। তার মধ্যেই নিখুঁত পরিকল্পনা করে, একেবারে ঠান্ডা মাথায় একের পর এক হামলা চালাল জঙ্গিরা। প্রথমে স্টেডিয়াম, তার পরে একে একে পানশালা, রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টার— বাদ গেল না কিছুই।
এত বড় মাপের হামলা চালাল যারা, তারা জানতই যে পালানো কার্যত দুঃসাধ্য! আত্মঘাতী হামলা যারা চালাতে আসে তারা পালাতে চায়ও না। ঘটনাবলি ইঙ্গিতও দিচ্ছে সে দিকেই। যে ৮ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। বাকি এক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে।
ভয়াবহ জঙ্গিহানার পরেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা ফ্রান্সকে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, তার খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। হামলার পর থেকে যে ভাবে এগিয়েছে পরিস্থিতি।
টাইম লাইন (বাংলাদেশ সময়)
সকাল ১০ টা ০৫ : জি-২০ সামিটে যোগদান বাতিল করলেন ওলাঁ।
০৯ টা ৩৫: হত ৮ জঙ্গি। ৭ জন হত আত্মঘাতী বিস্ফোরণে।
৯ টা ৪৪ : জঙ্গিদের পালাতে দেওয়া চলবে না। সরকারি নির্দেশে রুদ্ধ ফ্রান্সের সীমান্ত।
৯ টা ৪৩ : প্যারিসে কারফিউ জারি।
৮ টা ৫৪ : প্যারিস হামলার পর নিউ ইয়র্ক সহ অনান্য মার্কিনি শহর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল।
৮ টা ০০ : ফেসবুকে প্যারিসের জন্য সেফটি চেক চালু
৭ টা ৫৭ : প্যারিস পুলিশ কর্তারা জানালেন হামলাকারীরা সম্ভবত মৃত।
৭ টা ৫৫ : হামলাকারীদের সঙ্গীরা এখনও ফ্রান্সেই আছে, আশঙ্কা ফরাসি সরকারের।
৭ টা ৫৪ : জরুরি অবস্থা জারি করলেন ওলাঁ।
৭ টা ৫৩ : গোটা শহরে ১৫০০ সেনা মোতায়েন করা হল। ফরাসি সরকার জরুরি অবস্থা জারি করল।
৫ টা ২৯ : পুলিস সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে কনসার্ট হলে মৃত ১০০।
৫ টা ০০ : বাটাক্লাঁ ছাড়াও প্যারিসের আরও পাঁচটি এলাকা থেকে বিস্ফোরণ ও জঙ্গিহানার খবর।
ভোর ৪ টা ৪৫ : প্যারিসের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কাছে প্রবল বিস্ফোরণ। তীব্র আওয়াজে বন্ধ করে দেওয়া হল ফ্রান্স-জার্মানি প্রীতি ম্যাচ।
ভোর ৪ টা ৪৪ : প্যারিসের বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে ঢুকে পড়ল সশস্ত্র জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে কনসার্ট হলের দখল নিল জঙ্গিরা। পনবন্দি করা হল প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকদের। কনসার্ট হলের বাইরে তীব্র গুলির শব্ধ।
ভোর ৪ টা ১৭ (বাংলাদেশ সময়) : প্যারিসে ৭টি জায়গায় পরপর বিস্ফোরণের খবর।
১৫ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস