আন্তর্জাকিত ডেস্ক: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মদদেই ইরানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। ইরানের এই অস্থিরতার পেছনে দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের একজন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি আরো বলেন, তুরস্ক সবসময়ই এ ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধী। এটি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু তাদের স্থিতিশীলতা প্রতিবেশীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা ইরানের এই সংঘাত বন্ধ হবে। দেশটিতে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
পাকিস্তান, ইরানসহ মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই মুসলিম দেশগুলোতে একই ধরনের হস্তক্ষেপ করছে তারা।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভের বাস্তবতায় ইরানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি রুহানির আহ্বানকে স্বাগত জানান।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ইরানে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। রুহানির সঙ্গে ফোনালাপে এরদোগান বলেন, তার প্রত্যাশা কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিক্ষোভের ইতি ঘটবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস