আন্তর্জাকিত ডেস্ক: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ মিত্রের মতো নয়, আবার বন্ধুর মতোও নয়। তারা এমন বন্ধু যারা সবসময় বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমরা বিশ্বকে সত্য এবং বাস্তবতা ও কল্পিত কথার পার্থক্য জানাব।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে তাদের আর সহযোগিতা করতে পারবে না পাকিস্তান। ফলে ট্রাম্পের এই 'না' এর বাড়তি কোন গুরুত্ব নেই।যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাকিস্তান যে অর্থ সহায়তা নিয়েছে তার ব্যয়সহ যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করতে ইসলামাবাদ প্রস্তুত।
ইতোপূর্বে তিনি বলেছিলেন- সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহারের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আফগানিস্তানে তালেবান সমস্যা সমাধানে সমঝোতায় বসা। পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে হামলা) চালাবে ভারত, আর পাকিস্তান ধৈর্য ধরে বসে থাকবে, সেটা ভাবার অবকাশ নেই।
তিনি বলেছিলেন- জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সন্ত্রাস রফতানির জন্য অভিযুক্ত করেছেন। বাস্তবতা হল তার প্রধানমন্ত্রীই একজন সন্ত্রাসী। তার হাতে গুজরাটের খুন হওয়া মুসলমানদের রক্ত লেগে আছে। যারা ভারত শাসন করছে তাদের মধ্যে আছে একটি সন্ত্রাসী দল ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাঈদের মত সন্ত্রাসীকে দায়মুক্তি দিয়ে দেশের মধ্যে কার্যক্রম চালাতে দেয়া পাকিস্তানের জন্য বোঝা। লশকর-ই তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ একটি বোঝা। আমি তা স্বীকার করি। কিন্তুু তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সময় দিন। এই বোঝা মোকাবেলা করার মত সম্পদ আমাদের নেই।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান বি এস ধানোয়া বলেছিলেন, যদি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দরকার হয়, তবে তাঁর বাহিনীর বিমান পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দিতে পারে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ও চীন—দুই ফ্রন্টেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারত।
পাকিস্তানে প্রায় সব ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।দেশটির মাটি থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ধ্বংসে ব্যর্থতার কারণ দেখিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
পাকিস্তানের বিরোধী দলের নেতা ইমরান খান লিখেছেন, পাকিস্তানকে অসম্মান ও হেনস্তা করতে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছা করে এটা করেছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার এটাই উপযুক্ত সময়। পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক, কূটনীতিক নন এমন ব্যক্তি ও গোয়েন্দা সদস্যদের এখনই চলে যাবার নির্দেশ দেয়ারও প্রস্তাব করেছেন তিনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস