আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের একটি আদালত দেশটির উগ্রবাদী ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ধর্মীয় নেতাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার সুফি মুহাম্মদ নামের ওই ধর্মীয় নেতার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০০১ সালে অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সুফি মুহাম্মদকে মুক্তি দিতে আদালতের নির্দেশ আসল। পাকিস্তান জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিকে দেওয়া সামরিক সহযোগিতা আটকে দেওয়ার পর থেকেই উভয় দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে।
আইনজীবী ফিদা গুল জানান, সুফি মুহাম্মদকে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তার মুক্তির সব নথি তৈরি করা হয়।
পাকিস্তানি তালেবানের নেতা মুল্লাহ ফজলুল্লাহ’র শ্বশুড় হিসেবে পরিচিত সুফিকে ২০০৯ সালে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ধারণা করা হয়, ফজলুল্লাহ এখনও আফগানিস্তানে লুকিয়ে রয়েছেন।
সম্প্রতি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দেখেও না দেখার নীতি অনুসরণের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বোকার মতোই গত ১৫ বছরে ৩৩ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু এর বদলে মিথ্যা ও শঠতা ছাড়া কিছুই পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমদ চৌধুরী পাল্টা অভিযোগ করে জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান যে বিসর্জন দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন সেটাকে অবজ্ঞা করছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস’র খবরে বলা হয়েছে, সুফি মুহাম্মদের মুক্তিতে চলমান সংকট আরও গভীর হতে পারে। ২০০১ সালে এই ধর্মীয় নেতা ফতোয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে যুদ্ধকে পবিত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও পাকিস্তান তালেবানপন্থী তেহরিক নিফাজ-ই-শরিয়া মোহাম্মদ নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করেছিল।-নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস