এ এক ভালোবাসার অনুপম দৃষ্টান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যতগুলো হেট-টুইট (মুসলিম বিদ্বেষমূলক টুইট) পাবেন তার প্রতিটির বদলে দান করবেন এক ডলার, এমনটাই প্রতিজ্ঞা ছিল তার। সে কথা রেখেছেন তিনি।
ঘৃণাভরা টুইটের পরিবর্তে এখন পর্যন্ত ইউনিসেফে এক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার দান করেছেন সুজান কারল্যান্ড। মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ সুজান মুসলিম ধর্মাবলম্বী। অস্ট্রেলীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি যথেষ্ট সুপরিচিত।
ঘৃণার পরিবর্তে ঘৃণা নয়, বরং বাচ্চাদের জন্য কিছু করার তাগিদে তিনি অর্থসাহায্যের পথ বেছে নিয়েছেন।
গত ২২ অক্টোবর টুইটে সুজান জানিয়েছিলেন, তিনি যতগুলো হেট-টুইট পাবেন তা বদলে এক ডলার করে ইউনিসেফ-এ জমা করবেন। আর এক হাজার ডলার দানের পর সোমবার সুজানের টুইট, ‘দ্য নিডি চিলড্রেন থ্যাঙ্ক ইউ, হেটারস!’
সুজানের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাবটা যেন একটু বেশি। আর তাই পোশাক নিয়ে কটূক্তি করা শুরু করে তাদের ‘জেহাদি’ বলতেও বাধে না অধিকাংশ মানুষের।
তিনি জানিয়েছেন, গত কিছু দিন ধরেই এ ধরনের ঘৃণাভরা টুইট পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, তাতে বিশেষ উদ্বিগ্ন না হলেও এক সময় তা ব্লক করতে শুরু করেন তিনি। মাস কয়েক আগে তিনি ঠিক করেন, আর নয়, এর একটা বিহিত করতে হবে। আর বিহিত তিনি করেন ‘ইসলামে’র মূল নীতি মেনেই।
সুজান বলেন ‘আলোর মাধ্যমে অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে কোরআনে। এটা মনে হয়েছিল, আমার দিকে ধেয়ে আসার প্রতিটি কদর্য শব্দ-বুলেটের বদলে এ বিশ্বকে কিছু সুন্দর ফিরিয়ে দেওয়া।’
আর সেটাই তিনি করেছেন।
ইউনিসেফ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এভাবে: ‘সহায়তায় জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ঘৃণাকে আপনি বিস্ময়কর কিছুতে পরিণত করেছেন: শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিশুদের সুরক্ষায়’।
ভিন্ন ধর্মের আরো অনেকেই টুইটে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেউ আবার তাকে কিংবদন্তি বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
২০০৯ সালে রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ নারীর একজন হিসেবে উল্লেখ করে।
১৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ