যেখানে অপরাধী সংকটে কারাগার বন্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে নিজেকে জড়িয়েছে। পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, অপরাধীর সংখ্যাও বাড়ছে। একসময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপরাধীকে অন্তরীণ করে রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এভাবেই উদ্ভব হয় কারাগারের। এরপর সময়ের বিবর্তনে কারাগারের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে অপরাধের মাত্রা একেবারেই কম। অপরাধীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেখানে ৮টি কারাগার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়। কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ১৪ হাজার হলেও বর্তমানে সেখানে কারাবন্দির সংখ্যা মাত্র ১২ হাজার।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরো কমতে পারে।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
উপআইনমন্ত্রী নেবাহাত আলবেইরাক বলেছেন, প্রয়োজনের চেয়ে কারাগার বেশি থাকায় ৮টি কারাগার বন্ধ করতে হচ্ছে।
৬০টির বেশি সংস্থা নিয়ে গঠিত দ্য ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যালায়েন্স (সিজেএ) সরকারকে অতিদ্রুত ‘কারাগারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার’ কমাতে বলেছে। কারাগারে শুধু গুরুতর ও সহিংস অপরাধীদেরই বন্দি রাখা উচিত।
এরই মধ্যে দেশটির প্রধান কারা পরিদর্শক নিক হার্ডউইক বলেন, বাজেট সংকোচনের ফলে কারাগারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তবে এটা কোনোভাবেই অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। তার বক্তব্যের পর পরই কারাগারের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ নেদারল্যান্ড। দেশটিতে অপরাধ সংঘটনের হার অনেক কম। বসবাসের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করায় কখনো কোনো ধরনের অপরাধের শিকার হয়নি অনেক নাগরিক।
মাঝে মধ্যে দু-একটি ছোটখাটো অপরাধ ঘটলেও গুরুতর অপরাধের ঘটনা নেই বললেই চলে। কখনো গাড়ি চুরি, পর্যটকদের ব্যাগ ছিনতাই কিংবা পকেট মারার মতো ঘটনা দেখা যেতে পারে। তবে জনগণের ঘুম হারাম করে দেয়ার মতো অপরাধ খুবই কম।
দেশটির আদালতে অপরাধের জন্য তিন ধরনের শাস্তি দেয়া হয়। গুরুতর অপরাধের জন্য পুলিশ অথবা কারা হেফাজতে নেয়া হয়। ছোটখাটো অপরাধে আর্থিক জরিমানা করেই ছেড়ে দেয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীকে সামাজিক কাজে নিযুক্ত করা হয়।
১৭ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�