শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৫০:৪৯

ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান ভারতীয় এই নারী! আচমকা গুঞ্জনে বিতর্কের ঝড়

ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান ভারতীয় এই নারী! আচমকা গুঞ্জনে বিতর্কের ঝড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সালে নাম জড়ালো ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নারীর। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘প্রণয়ী’ কিংবা ‘শয্যাসঙ্গিনী’ নিয়ে জল্পনা যেন থামতেই চাইছে না। হ্যালির ধূমকেতুর মতো এ বার আচমকা গুঞ্জনে উঠে এলো জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হ্যালির নাম। গুঞ্জনে বইছে বিতর্কের ঝড়।

গুঞ্জনই বা কেন, এ নিয়ে মার্কিন দুনিয়ায় এখন রীতি মতো হইহই আলোচনা। জল এত দূর গড়িয়েছে যে, স্বয়ং নিকি হ্যালিকে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বলতে হল, ‘এ সব যাচ্ছেতাই মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়।’ ঘটনার সূত্রপাত সদ্য প্রকাশিত একটি বেস্ট সেলার বইকে ঘিরে। মার্কিন সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, লেখক মাইকেল উল্ফের বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ প্রকাশ হয়েছে এ মাসেই।

বেরিয়েই ‘হট কেক’। নিজের বই নিয়ে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে উল্ফ বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে এক মহিলার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবং সেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তিনি তার বইতে বিস্তারিত লিখেছেন। কে এই মহিলা? মুখে নাম করেননি তিনি। কিন্তু বইটি পড়ার পর পাঠকমহল নিশ্চিত, উল্ফ আসলে নিকির দিকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন।

কী লিখেছেন উল্ফ? লিখেছেন, হ্যালি শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে হাই প্রোফাইল মহিলাই নন, এমন হাবভাব করেন যেন তিনিই প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারী। ওভাল অফিস এবং প্রেসিডেন্টের বিমানে হ্যালি ব্যক্তিগত ভাবে অনেকটা সময় কাটান বলেও লিখেছেন উল্ফ।

এই সব কথাকে অবশ্য সপাটে উড়িয়ে দিয়েছেন হ্যালি। “একেবারেই ঠিক নয়...”— বৃহস্পতিবার পলিটিকো-র উইমেন রুল পডকাস্টে এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, “সবটাই ভীষণ রকম আপত্তিকর, এবং বিরক্তিকর।”

ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিমানে একান্তে সময় কাটানোর প্রসঙ্গে হ্যালির জবাব, “এক বারই এয়ারফোর্স ওয়ান-এ ছিলাম। একা নয়, সেখানে আরও অনেকেই ছিলেন আমার সঙ্গে।”

যিনি বা যারা এ সব কথা বলছেন, তাদের লিঙ্গবৈষম্যবাদী বলেও পাল্টা আঙুল তুলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “মহিলারা কোনও ভাল করলে বা নিজের কাজ ঠিকঠাক করলে, এমন কিছু মানুষ আছেন যারা তাদের সম্পর্কে অপপ্রচার করেন। আর মহিলাদের ছোট করাই তাদের কাজ।”

উল্লেখ্য, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকির জন্ম দক্ষিণ ক্যারোলিনার এক শিখ পরিবারে। ২০০৪ সালে আমেরিকার হাউজ অব রিপ্রেসেন্টেটিভ-এর সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে হন দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যখন রিপাকলিকান প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে, তখন কিন্তু ট্রাম্প বিরোধী শিবিরেই ছিলেন তিনি।

মার্কো রুবিও-কে রিপাবলিকান প্রার্থী করার জন্য সক্রিয় ভাবে ময়দানে নামেন। তারপর হাওয়া ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে আস্তে আস্তে শিবির বদলে ফেলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর খবর ছিল যে, নিকি হ্যালিকে বিদেশ দফতরের সচিব করতে চলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে তাকে।
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে