আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার ‘আজাদ কাশ্মীরের’ জিগির তুলে বিতর্কে ব্রিটিশ লর্ড নাজির আহমেদ। ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন লন্ডনে ‘কালা দিবস’ পালন করার ডাক দেন তিনি। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের ‘দমননীতি’র প্রতিবাদ ও ‘আজাদ কাশ্মীরের’ দাবি নিয়ে একটি ব়্যালি বের করেন ব্রিটিশ লর্ড। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তার সমর্থকরা।
ওই বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসেন পাকিস্তানের কয়েকশো সমর্থক। আজাদ কাশ্মীর ও খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দেয় তারা। পালটা পথে নামে ভারতীয় সমর্থকরাও। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। স্লোগান, পালটা স্লোগানের পর বিরোধ গড়ায় হাতাহাতির পর্যায়ে। তারপরই পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভারতের সমর্থনে পথে নাম একাধিক ব্রিটিশ সংগঠনও। নাজির আহমেদের এহেন কার্যকলাপের তীব্র বিরোধিতা করে তারা। এক ভারতীয় সমর্থক অভিযোগ তোলেন, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে লড়াই করছেন নাজির।
আরেক সমর্থক বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে পাকিস্তান। ক্রমশ সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে ওই দেশ। অনেক হয়েছে এবার জঙ্গি পাকিস্তানের জারিজুরি শেষ করে দেওয়া উচিত।
এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ব্রিটেনে। হাউস অফ লর্ডস-এর সদস্যের এহেন কার্যকলাপে রীতিমতো অস্বস্তিতে লন্ডনের নীতিনির্ধারকরা। তবে এই ঘটনায় বন্ধু দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরবে না বলেই মনে করছে বৃটেনের ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। তবে দিল্লির মন্তব্য কাশ্মীর ভারতের অংশ। এনিয়ে আলোচনা অসম্ভব। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক কৌশলে বিশ্ব আঙিনায় প্রায় একঘরে পাকিস্তান।
তাই এবার এজেন্টদের মধ্যমে বিদেশে বিক্ষোভ উসকে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে মত ভারতীয়দের। তবে সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদের দ্বিচারিতায় প্রবল ক্ষুব্ধ আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এদিকে চীন ছাড়া এই মুহূর্তে ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কোন শক্তিও দেখা যাচ্ছে না।
এমটিনিউজ/এসবি