 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রেন দিয়ে যখন বাসটি টেনে তোলা হচ্ছিল তখন লাশ ভরা বাসটি ধীরে ধীরে ভেসে ওঠে পানির উপর। ঝুলন্ত বাসে ৩২ জনের মৃতদেহ। আর ৩২ লাশ নিয়ে ভেসে উঠল সেই বাস। অন্ধকার নেমে এলে উদ্ধারের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আর উপরে তোলার ঝুঁকি নেয়া হয়নি। ওই অবস্থাতেই উদ্ধারকারী দল বাসের ভেতর থেকে একের পর এক মৃতদেহ বের করে আনতে থাকে।
সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭০ ফুট গভীর বিলে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি বাস। প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর দুপুরেই উদ্ধারস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রসহ প্রশাসনের প্রচুর কর্মকর্তা।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন জল থেকে ১০ জনকে উদ্ধার করেন। তার মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা। উদ্ধারের পর এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জলের গভীরতা বেশি থাকার জন্য প্রথম দিকে উদ্ধারকাজে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।’
পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটি লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে জলে পড়ে যায় বাসটি।’’ উদ্ধারকাজ শুরু হতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নদীতে জল বেশি থাকায় প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়েছিল।’’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস