মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৬:৪৯:০০

এক হাতে ফোনে কথা বলছিলেন, এক হাতে বাস চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার : নিহত ৪১

এক হাতে ফোনে কথা বলছিলেন, এক হাতে বাস চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার : নিহত ৪১

নিউজ ডেস্ক : বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও শোনেনি ড্রাইভার৷ ফোনে কথা বলতে বলতে রেলিং ভেঙে নদীতে বাস৷ এমনটাই জানালেন মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা অভিশপ্ত বাসের যাত্রী ৷করিমপুর থেকে বহরমপুর যাওয়ার পথে বালিরঘাট সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায় বাসটি।

বাসে ৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন বলে খবর। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চালকের বিরুদ্ধে মোবাইল কানে বাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে ওই বাসেরই এক যাত্রী৷

করিমপুর থেকে আটজন যাত্রী নিয়ে ছাড়ে সরকারি বাস। গন্তব্য বহরমপুর। জলঙ্গি ও ডোমকল থেকে ওঠেন আরও জনা পঞ্চাশেক যাত্রী । বেশিরভাগ যাত্রী সরকারি কর্মী। সপ্তাহের প্রথমদিন কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তারা।

দৌলতাবাদে বালিরঘাট ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে ফোনে কথা বলছিলেন চালক৷ তার চালকের আসনেই বসেছিলেন তিনি৷ ড্রাইভারকে সাবধানও করে ফোনে কথা না বলার জন্য৷ কিন্তু বলতে বলতেই রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায় বাসটি ৷

দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকাতেই কি দুর্ঘটনা? না কী রেষারেষির জের? কাউকে সাইড দিতে গিয়েই কী রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায় বাসটি? কিংবা আহত যাত্রীদের দাবিমত মোবাইলে কথা বলতে বলতে এক হাতে স্টিয়ারিঙ ধরাতেই কি প্রাণ গেল এতগুলো মানুষের? উঠে আসছে বিভিন্ন সম্ভাবনা।

তবে অভিশপ্ত বাসে উপস্থিত ব্যক্তি জানিয়েছে ফোনে কথা বলার জেরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা বাসযাত্রীদের দাবিতে বারবার উঠে আসে এই তথ্য যে, চালক মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন বলেই দুর্ঘটনা ঘটে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই দুর্ঘটনা রুখতে কড়া একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি)।

চালকদের ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। সিসিটিভিতে চলবে চালকদের উপর নজরদারিও। ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ সাসপেন্ড করা হবে চালককে। ৩ ফেব্রুয়ারির বোর্ড মিটিংয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে