আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একে কাকতালীয় বলুন অথবা বিশ্বাস, সুপারমুন বা ‘রক্তাক্ত চাঁদ’ এর কারণে পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে৷ এমন বহু নজির তুলে ধরে অন্তত তাই দাবি করা হচ্ছে৷
গতকালকের সুপার মুন, ব্লু মুন ও গ্রহণ- তিনটে একসঙ্গে ঘটেছে৷ আর আশ্চর্যজনকভাবে ঠিক এই সময়েই কেঁপে উঠল ভূমি৷ কম্পনের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালা৷ কম্পনের ঝটকা অনুভূত হয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও উজবেকিস্তানেও৷
অতীতে সুপারমুনের দিনে এমন বহু ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ নথি ঘেঁটে সেই তথ্য তুলে ধরেছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের একাংশ৷ যেমন ২০১১ সালের জাপান সুনামি৷ বিধ্বংসী সেই সুনামির আট দিন পরেই ছিল সুপারমুন৷ ২০০১ সালে গুজরাতের কচ্ছ এলাকা তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে৷ রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৭.৯৷ সেই সময় দেখা দিয়েছিল সুপারমুন৷
খোদ আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে বলছে পৃথিবীর কাছে যখনই চাঁদ চলে আসে অর্থাৎ সুপারমুন পিরিয়ডে, ভূমিকম্পের মতো ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে৷ বিশেষ করে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় এই ধরনের ঘটনার তীব্রতা থাকে অনেক বেশি৷
সুপারমুনের সময় ভূমিকম্পের মতো ঘটনার আরও একটি উদাহরণ দেওয়া যাক৷ ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে ৬.৩ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়৷ ভূমিকম্পের ঠিক চারদিন আগে সুপারমুন ছিল৷
জ্যোতিবিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহদের প্রভাব পৃথিবীর উপর এসে পড়ে৷ পৃথিবী থেকে তারা কতটা দুরত্বে থাকে তার উপর নির্ভর করে বির্পযয়ের তীব্রতা৷
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস