বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৪৮:০৭

শ্যালিকা 'আপন', স্ত্রী 'পর' : তিন মাস পর কীর্তি ফাঁস

শ্যালিকা 'আপন', স্ত্রী 'পর' : তিন মাস পর কীর্তি ফাঁস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্যালিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক। কিন্তু পথের কাঁটা ছিলেন স্ত্রী। তাই তাকে সরিয়ে দিতেই খুন করে দিব্যি অন্য একজনের উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল স্বা্মী। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত। পেশায় সে আবার সিভিক ভলান্টিয়ার।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই পুলিশের সন্দেহ হয়। তার পরেই ধরা পড়ে যায় খুনে স্বামী। মালদহের রতুয়া থানার মাকাইয়া গ্রামে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর রাতে খুন হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন ঘোষের স্ত্রী খুশবু ঘোষ। স্ত্রী খুন হওয়ার পরেই রতুয়া থানায় ভবেশ মহালাদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সনাতন।

অভিযোগ আনে, জমি সংক্রান্ত বিবাদে ভবেশ ঘটনার দিন রাতে তার বাড়িতে এসে দৃষ্কৃতী নিয়ে হামলা চালান। তখনই তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরির আঘাতে খুশবুর মৃত্যু হয়। এরপরেই ভবেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরপর থেকেই জেলেই ছিলেন ভবেশ। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা ছিল, শ্বাসরোধ করে খুন করার তিন ঘণ্টা পরে মৃতার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। নতুন করে জেরা করা হয় সনাতনকে।

জেরায় ভেঙে পড়ে সনাতন স্বীকার করে, শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই স্ত্রীকে খুন করে ভবেশের উপরে দায় চাপিয়েছে সে। যে থানায় সে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করত, সেই রতুয়া থানার পুলিশই বুধবার সনাতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সনাতনের এই কীর্তি ফাঁস হওয়ার পরে প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনরাও বিস্মিত। কারণ সনাতনকে দেখে এতদিন তাদের কোনও সন্দেহই হয়নি। এতদিন পুলিশের মনেও সন্দেহ ছিল, বাড়িতে দুষৃতী নিয়ে এসে খুশবুকে খুন করলেও কেন প্রতিবেশীরা কিছু জানতে পারলেন না? কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সনাতনকে গ্রেফতার করতে পারছিল না পুলিশ। সনাতনের শেষ রক্ষা অবশ্য হল না।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে