শুক্রবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০১:০৬:১৭

স্বামীর মৃত্যুর ১২ দিন পর পাওয়া স্ত্রীর লেখা চিঠিতে আশ্চর্যজনক তথ্য

স্বামীর মৃত্যুর ১২ দিন পর পাওয়া স্ত্রীর লেখা চিঠিতে আশ্চর্যজনক তথ্য

নিউজ ডেস্ক : কলকাতা শহরে রোজই কোন না কোন অঘটন ঘটে এবং তার সাথে অনেক রকম আশ্চর্যজনক তথ্য সামনে আসে। কিছুদিন আগেই এইরকম একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যার তথ্যগুলো পরলে জানা যাবে যে ঘটনাটি পুরোপুরি আলাদা রকমের।

মৃত ইঞ্জিনিয়ার গগন। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার গগন ও তার বাবা শিবপ্রসাদ ভোপাল শহরের তেজাজী নগর এলাকায় লিম্বোদি কলোনিতে নিজের স্ত্রীর সাথে থাকতেন। গত বছর ভোপাল নিবাসী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার গগনের বিয়ে সাথে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার।

১২ দিন আগে হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়ার কারণে গগনের মৃত্যু হয়। আত্মীয়-স্বজনরা মুখাগ্নি করেন। বিষ খাওয়ার আশংকার জন্য গগনের আত্মীয় স্বজনরা তার মৃতদেহটিকে পোস্টমর্টান করান। রিপোর্ট না আসার আগেই গগনের দেহটি তার আত্মীয়স্বজনরা জ্বালিয়ে দেয়। আত্মীয়-স্বজনরা শ্রাদ্ধের কাজ করে।

১২ দিন পর যখন তার অস্থি বিসর্জন করা হচ্ছিল, সেই সময় গগনের বাক্স থেকে একটি ডায়রি পাওয়া যায়। যার মধ্যে তার স্ত্রী দ্বারা লেখা একটি চিঠি ছিল। যা পড়ার পর সবাই আশ্চর্য হয়ে পড়ে। সেই চিঠির প্রথমে লেখা ছিল যে গগনের স্ত্রীর তার অফিসের বসের সাথে সম্পর্ক ছিল। এই কথা শোনার পর গগন তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল।

দ্বিতীয় পাতাতে লেখা ছিল, সে গগনকে বলে যে সে তার বসের ব্যাপারে সমস্ত কথা ভুলে যাবে এবং তার সাথে আবার সংসার শুরু করবে। গগন সেই কথা শুনে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনলেও সে কিন্তু তার বসকে কিছুতেই ভুলতে পারেনি। তার কারণে তার স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজন তার সাথে সম্পর্ক ভেঙে দেয়। তারপরও গগনের স্ত্রী তার কাছে আরোও একবার ক্ষমা চায়।

চিঠিটি সামনে আসতেই আত্মীয়-স্বজনরা খুবই দুঃখিত হয়ে পরে এবং তারা এটিকে কোনোভাবেই আত্মহত্যা মানে না, বরং মনে করেন এটি একটি খুন। তাই এই চিঠিটা গগনের বাবা তাদের লোকাল থানাতে জমা দেন এবং বলেন যেন এই কেসটির যেন সম্পূর্ণভাবে বিচার করা হয়।

পুলিশও আস্হা দিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ এই কেসটি নিয়ে বিশেষভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। দেখা যাক এই কেসটা কতদুর এগোয় এবং এর সত্যিটা আদও সামনে আসে কিনা।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে