আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজের আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা প্রেমিককে জানিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক যুবতি। ঘটনার পর অভিযুক্ত প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবতির পরিবার। ঘটনার প্রায় ১০ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন মৃত যুবতির বাবা।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। ২১ জানুয়ারির ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকার রিয়া লাহা(১৮)। ঘণ্টা দু’য়েক পর ফিরে আসে তারা।
এরপরই প্রেমিকের মোবাইল নম্বরে মেসেজ করে রিয়া। লেখে, "গুড বাই, ভালো থাকবে রাজা। আর নিজের মতো মেয়েকে বিয়ে করো।” এরপরই রিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরেই রিয়ার পরিবারের তরফে প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে জানানো হয়, রিয়ার প্রেমিক প্রশান্ত ঘোষ আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন।
শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে রিয়ার বাবা প্রদীপ লাহা বলেন, তার মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা ছিল রাজার। এক বছর আগে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। দু’জনের বাড়িতেই উভয়ের যাতায়াত ছিল। তার কথায়, আত্মহত্যা করার দিন রাজাকে সেই ঘটনা জানিয়েছিল রাজা।
প্রদীপবাবু একটি মেসেজ (চিঠি) দেখান। যেটি আত্মহত্যা করার আগে রিয়া পাঠিয়েছিল রাজাকে। ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, "তোমাকে ভালোবেসে আমি শুধু ছোটো হয়েছি। আমি জানি তোমার কোনও ব্যাপার না আমাকে ছেড়ে থাকা। তোমাকে ছাড়ার অনেক চেষ্টা করেছিলাম। আগেও আমি বুঝে গিয়েছিলাম অনেক দূরে গেলেও তোমাকে ভুলতে পারব না। তোমাকে ভুলতে হলে আমাকে সব ভুলতে হবে। মনে হয় না এটা হবে। তোমাকে আগেও বলেছিলাম আমি মরব আজ। সত্যি আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না। কারণ, জানো আমি শুধু শরীরিক ভালোবাসার সঙ্গে থাকতে পারব না। গুড বাই রাজা ভালো থাকবে। আর তোমার মতো ভালো মেয়েকে বিয়ে করবে।"
তার অভিযোগ, এরপর রিয়া বিয়ের প্রস্তাব দিলে টালবাহানা করতে শুরু করেন রাজা। দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আত্মঘাতী হন তার মেয়ে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে আগামীতে অন্য কোনও মেয়েকে এভাবে মরতে না হয়, তার জন্য দোষীর শাস্তি প্রয়োজন।
এমটিনিউজ/এসএস