আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার প্রয়াত বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর বড় ছেলে ফিদেল অ্যাঞ্জেল কাস্ত্রো ডায়াজ বালার্তের আত্মঘাতী হওয়ার পেছনের কারণ প্রকাশ করেছে কিউবার সরকারি সংবাদপত্র গ্রানমা। পত্রিকাটির খবর অনুযায়ী, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেন তিনি।
যে কারণে আত্মহত্যা করেন ফিদেল কাস্ত্রোর ছেলে :-
পত্রিকাটি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ফিদেলিতো (বাবার সঙ্গে চেহারায় মিল থাকায় ডায়াজ বালার্তকে সবাই ফিদেলিতো বা লিটল ফিদেল বলে ডাকত) । চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। পরে সেখান থেকে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলছিল। কয়েক মাস ধরে তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আত্মহত্যা করেন।
সাবেক কিউবান রাষ্ট্রনেতার এই প্রথম সন্তানের জন্ম ১৯৪৯ সালে। ফিদেলিতোর মা মিরতা ডিয়াজ-বালার্ত ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রোর প্রথম পক্ষের স্ত্রী। কিউবার বিপ্লবের সময় মিরতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ফিদেলের। ফিদেলিতোকে নিয়ে মিয়ামি চলে যান তার মা। পরে বাবাকে দেখতে কিউবায় ফিরে আসেন ছেলে।
এরপর অভিযোগ ওঠে, ফিদেলিতোকে নাকি আর তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে দেননি ফিদেল কাস্ত্রো। ফিদেলের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে অপহরণের অভিযোগও তুলেছিলেন মিরতা।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিদেলিতো কিউবার পরমাণু পদার্থবিদ ছিলেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি কিউবার জুরাগুয়া পারমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। ফিদেলের এই স্বপ্নের প্রকল্প নির্ভরশীল ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর। সোভিয়েত ভেঙে যাওয়ার পর অনুদান বন্ধ হয়ে যায়।
একই সঙ্গে প্ল্যান্টে শুরু হয় বড়সড় যান্ত্রিক গোলমাল। ছেলেকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন ক্ষুব্ধ ফিদেল। তবে পরে তিনি ‘কিউবান কাউন্সিল অব স্টেট’-এ বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা এবং কিউবার ‘অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ওই দুই পদে ছিলেন।
মায়ের সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত অনেক কিউবান ফিদোলিতোর আত্মীয়, যারা ফিদেল কাস্ত্রোকে শত্রুর চোখে দেখেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য মারিও ডায়াজ-বালার্ত ও সাবেক কংগ্রেস সদস্য লিংকন ডায়াজ-বালার্তও রয়েছেন। বাবার পথে হাঁটলেও ফিদেলের ছেলেদের কেউ রাজনীতিতে উচ্চাভিলাষ দেখাননি। তার ভাই টনি কাস্ত্রো বেসবল খেলোয়াড় হিসেবে বেশি পরিচিত।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস