আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গোমূত্র বিতর্কে আরও এক ধাপ এগোল উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার। দেশের সিওবথেকে বড় রাজ্যের সরকারি দফতরের মেঝে পরিষ্কারের জন্য গোমূত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। সেই নিয়ে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। সেই রেশ না কাটতেই সামনে এল নয়া বিতর্ক। গোমূত্র থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার শুরু করল ভারতের রাজ্য সরকার।
এবার গোমূত্র থেকে তৈরি ওষুধের ব্যবহার করতে শুরু করল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ওই রাজ্যের আয়ুর্বেদ সচিব আর আর চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘গোমূত্র দিয়ে আটটি ওষুধ তৈরি করেছে আয়ুর্বেদ দপ্তর।
লিভার সমস্যা, গাঁটে ব্যথা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ওষুধগুলোর ব্যবহার হচ্ছে।’ পিলভিট এবং লখনউতে দু’টি সরকারি আয়ুর্বেদ ফার্মাসিতে ওষুধ তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে একাধিক বেসরকারি সংস্থাতেও গোমূত্র থেকে তৈরি করা হচ্ছে ওষুধ।
গত বছর জুলাই মাসে গোমূত্রের উপর গবেষণার জন্য ১৯ সদস্যের ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। তাতে যুক্ত করা হয় আরএসএস এবং ভিএইচপি-র সঙ্গে যুক্ত লোকদের। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে এই কমিটি পঞ্চগব্য নিয়ে গবষেণা করবে। পঞ্চগব্য বলতে বোঝায়- গোবর, গোমূত্র, দুধ, দই এবং ঘিয়ের মিশ্রণ।
প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, পুনর্নবীকরণ মন্ত্রককে। তাছাড়া, বিভিন্ন আইআইটি-র বিজ্ঞানীদেরও তাতে শামিল করা হয়। কমিটিতে রয়েছে আরএসএস এবং ভিএইচপি-র সঙ্গে যুক্ত দুই কেন্দ্র- বিজ্ঞান ভারতী এবং গৌ বিজ্ঞান অনুশীলন কেন্দ্রের তিন সদস্য।
উত্তর প্রদেশের বান্দা, ঝাঁসি, মুজফফরনগর, এলাহাবাদ, বারাণসী, বেরিলি, লখনউ এবং পিলভিটে আয়ুর্বেদ কলেজে গোমূত্র থেকে ওষুধ তৈরির গবেষণা চলবে বলে জানিয়েছেন আয়ুর্বেদ সচিব আর আর চৌধুরী। গোমূত্রের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আয়ুর্বেদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ গোমূত্র।
আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, গোমূত্র এবং অন্যান্য গো-পণ্যের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।” একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে মেডিক্যাল কলেজ খুলে সেখানে আয়ুর্বেদের উপর পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং এমডি ডিগ্রি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।--কলকাতা২৪
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস