সোমবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ১০:২৯:৩৩

প্রেমঘটিত নাকি অন্যকিছু? রহস্যজনক খুনে ধন্দে পুলিশ!

প্রেমঘটিত নাকি অন্যকিছু? রহস্যজনক খুনে ধন্দে পুলিশ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রহস্যজনকভাবে এক যুবক খুন হলেন বীরবভূম জেলার রামপুরাহাট থানার হস্তিকান্দা এলাকায়। তার মাথায় গভীর ক্ষত চিহ্ন। ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে মুখ। খুনের পর মাথার উপর পাথর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বছর ছাব্বিশের এই যুবকের সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পরিচয় পায়নি পুলিশ।

খুনের জায়গায় একটি ওড়না পড়েছিল। তারপরই সন্দেহ দানা বাঁধে। এর পিছনে রাজস্থানের লাভ জেহাদের ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যুবকের পরিচয় খুঁজতে বিভিন্ন এলাকায় তার ছবি পাঠানো হয়েছে। রামপুরহাট হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তদন্ত করা হবে।

রামপুরহাট থানার ঝাড়খণ্ড সীমান্তে হস্তিকান্দা গ্রামের কাছে যুবকের দেহটি উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে ছোট গর্তের মধ্যে ওই যুবকের অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। অপরিচিত ওই যুবকের পরনে ছিল গাঢ় নীল জামা, কালো জ্যাকেট এবং জিনসের প্যান্ট। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

তা থেকে পুলিশের ধারণা, ওই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর পরিচয় লোপাট করতে তার মুখে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুনে মৃত যুবকের কালো জ্যাকেট পুড়ে গিয়েছে। পুড়েছে মাথার চুল। মুখেও একাধিক ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কাটা হয়েছে, রয়েছে চাপচাপ রক্ত।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইলের পিছনের কভার উদ্ধার করেছে। পরিচয় না পাওয়া গেলেও তার পোশাক দেখে সম্ভ্রান্ত পরিবারের বলে ধারণা পুলিশের। মাসড়া গ্রামের বাসিন্দা উকিল মুর্মু বলেন, “আমরা সকালে যখন মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলাম তখন মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি। সকালে এসে পুলিশ মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায়।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হস্তিকান্দা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত একটি প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য তারস্বরে বক্স বাজছিল। তখনই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান আমাদের।” ঘটনাস্থলে আলো দেখতে পেলেও কেউ এগিয়ে যাননি। সবাই মনে করেছেন, প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে কেউ হয়তো মদ্যপান করছে। তদন্তে নেমে পুলিশ মনে করছে ওই যুবকের শরীরে আগুন লাগানো হলেও পরে তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।

কারণ আগুনে শরীরের জ্যাকেট সম্পূর্ণ পোড়েনি। শুধুমাত্র মৃত্যু নিশ্চিত করতেই মাথায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মৃতদেহের পাশ থেকে এক গোছা গেটের চাবি, একটি কাপড়ের টুকরো এবং পাথর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ মনে করছে, পাথর দিয়েও মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে