আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালদ্বীপে ভারতের যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। মালদ্বীপের দিকে যদি ভারত যায় তাহলে ফল ভালো হবে না। এমনটাই হুঁশিয়ারি বার্তা দিল চীন। মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ সাহায্যের জন্য ভারতের দ্বারস্থ হওয়ার পরই এমন মন্তব্য করল চীন।
তাদের দাবি, ভারত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে নাকি সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। মালদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে চীনের। দুই দেশের মধ্যে এফটিএ চুক্তিও হয়েছে, যার ফলে লাভবান হয়েছে দুই দেশই। তবে মালদ্বীপের সমস্যা নিয়ে মুখ খোলেনি চীনের মিডিয়া। অবশ্য, চীন তাদের মেরিটাইম সিল্ক রোড প্রজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখে মালদ্বীপকে।
তাই সেদেশে ভারতের আধিপত্য তৈরি হলে চীনের চিন্তার কারণ তো হবেই। এদিকে, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ভারত৷ সেখানে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন৷ জানা গিয়েছে, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে দ্রুত সেনাবাহিনী পাঠানো হতে পারে মালদ্বীপে৷ সেই জন্য আর্মি-নেভি ও এয়ারফোর্সকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে৷
মালদ্বীপ সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে অবস্থানকারী ভারতীয় নৌ সেনার যুদ্ধ জাহাজেও পাঠানো হয়েছে বার্তা৷ ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাদণ্ড পাওয়া মোহাম্মদ নাশিদ ও বিরোধী দলের ১২ সাংসদকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু মালদ্বীপের বর্তমান সরকার বিরোধী নেতাদের মুক্তি দিতে চায়নি৷
বরং সোমবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ এরপরেই সে দেশের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাঈদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল গাইয়ুম সহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ পরিস্থিতি আরও ঘোরালো আকার নেয় এর জেরেই সুপ্রিম কোর্ট ও সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু৷ এরপরেই রাজধানী মালে শহরে সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ে৷ দেশটির পার্লামেন্ট ঘিরে রাখা হয়েছে৷
এর আগে, ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অভ্যুত্থান রুখে দিয়েছিল ভারত৷ সেবার কোনো রকমে উদ্ধার করা হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গাইয়ুমকে৷ মালদ্বীপে ভারতীয় সেনার সেদিনের পুরো অভিযানটি অপারেশন ক্যাকটাস নামেই সুপরিচিত৷
এমটিনিউজ/এসএস