 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৬-তেই মোদী এসে উঠেছিলেন এই হোটেলে। চামুন্ডি হিলের পাদদেশে অবস্থিত এই হোটেল। ব্রিটিশ অতিথি, ভাইসরয়ের মতো ব্যক্তিত্বদের জন্যই ১৯৩১ সালে মহীশূরের মহারাজা তৈরি করেছিলেন এই হোটেল।
 
দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য হোটেলে রুম নেই। এমন কথা আগে কেউ শুনেছেন! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা একদম সত্যি। মোদীর জন্য রুম নেই, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দিলেন হোটেল মালিক।
নরেন্দ্র মোদীর জন্য ঘর চেয়েও পাওয়া যায়নি। একদিনের মহীশূর সফরে এসে বিখ্যাত ললিতা মহল প্যালেসে রুম চাওয়া হয়েছিল মোদীর জন্য। দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষের এহেন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে দ্বিতীয়বারও ভাবেনি ললিতা মহল প্যালেস। শেষমেশ ললিতা মহল হোটেলের ঘর না পেয়ে র্যাডিসন ব্লু হোটেলে ঘর বুক করা হয় মোদী এবং তাঁর নিরাপত্তরক্ষীদের জন্য।
এই বিষয়ে অন্যান্য খবর-
সোমবারই হোটেলের তরফ থেকেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয় সংবাদমাধ্যমের সামনে। ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে ললিতা মহল প্যালেসের জেনারেল ম্যানেজার জোসেফ ম্যাথিয়াস জানিয়েছেন, ‘‘ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ঘর বুক করতে এসেছিলেন এক অফিসার। আমাদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ঘর বরাদ্দ করা সম্ভব হয়নি। একটি বিয়ের জন্য অনেক আগে থেকেই ঘর বুক করে রাখা হয়েছিল। প্রায় সবক’টি ঘরই বুক করা হয়ে গিয়েছিল।’’
উল্লেখ্য, হোটেলের ৫৪টি ঘরের মধ্যে মাত্র তিনটি ঘর অবশিষ্ট ছিল। এই তিনটি ঘরে মোদীর মতো একজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বকে থাকতে দেওয়া অসম্ভব! তাই বাধ্য হয়েই প্রস্তাব ফেরাতে হয় হোটেলকে।
ঘটনা হল, মোদীর মহীশূর সফরের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে দেরি হয়ে যায়। বহু আগে সংশ্লিষ্ট হোটেল একটি বিয়ের বুকিং নিয়ে ফেলে। যদিও এই ললিতা মহল প্যালেসে আগেও এসে থেকে গিয়েছেন মোদী।
২০১৬-তেই মোদী এসে উঠেছিলেন এই হোটেলে। চামুন্ডি হিলের পাদদেশে অবস্থিত এই হোটেল। ব্রিটিশ অতিথি, ভাইসরয়ের মতো ব্যক্তিত্বদের জন্যই ১৯৩১ সালে মহীশূরের মহারাজা তৈরি করেছিলেন এই হোটেল। পরবর্তীকালে এই হোটেলের মালিকানা হস্তান্তরিত হয়ে যায় কর্নাটক সরকারের হাতে। পরে আরও একপ্রস্ত হাত বদল হয়ে আইটিডিসি-র অধীনে আসে এই হোটেল। আবার মার্চে তা কর্ণাটক সরকারের হাতেই আসবে।
এ হেন হোটেল সম্পর্কে ম্যাথিয়াস বলছেন, ‘‘আমাদের এই হোটেলে আগেও থেকে গিয়েছেন মোদীজি। মহীশূর সফরে এলে রাষ্ট্রপতিও এই হোটেলে উঠেছেন। আমরা জানি কতগুলো ঘর প্রয়োজন। মোদীজির মতো ব্যক্তিত্বের নিরাপত্তা, খাবারের সুরক্ষার জন্য কী ধরনের আয়োজন করতে হয় তাও আমাদের জানা।’’
কয়েকটা বুকিং যদি বাতিল করার মতো অবস্থা হতো, তাহলে হয়তো সেই পথেই যেত ললিতা মহল। কিন্তু তা হয়নি বলেই শেষমেশ মোদীর প্রস্তাব ফেরাতে হয়।
এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর