আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মোবাইল রিচার্জ করতে গিয়ে আলাপ। সেখান থেকে প্রেম। মাঝপথে জানা গেল প্রেমিক বিবাহিত। এই খবরে আত্মহননের পথ বেছে নিল তরুণী। প্রেমিকার এই অবস্থায় নিজের বাঁচার ইচ্ছে হারিয়ে গেল যুবকেরও। তারও এক পরিণতি। প্রেমিক-প্রেমিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির ভদ্রেশ্বর ও সিঙ্গুরে শোরগোল পড়েছে।
প্রেমিকা সুস্মিতা ঘোষ (২৪) ভদ্রেশ্বরের বেজরার বাসিন্দা। আর প্রেমিক সন্তু গুছাইত (২৮) এর বাড়ি সিঙ্গুর থানার ন’পাড়ায়। বেজরায় দিল্লি রোডের কাছে সুস্মিতার বাবা সদানন্দ ঘোষের মিষ্টির দোকান। ওই একই জায়গায় সন্তুর মোবাইল রিচার্জের দোকান আছে। সুস্মিতা হুগলি উইমেনস কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর প্রাইভেট টিউশন শুরু করেছিলেন।
সুস্মিতা নিয়মিত সন্তুর দোকান থেকে মোবাইল রিচার্জ করতেন। এই থেকে ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। বছর তিনেক হল দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সবই ঠিকঠাক চলছিল। প্রণয় পর্বে সুস্মিতা জানতেন না যে তার প্রেমিক বিবাহিত। সম্প্রতি ওই তরুণী জানতে পারেন সন্তু বিবাহিত। এরপরই তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। খাওয়া-দাওয়া একপ্রকার বন্ধ করে দেন।
তার পরিবারসূত্রে খবর, মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে সুস্মিতা বুধবার রাতে বাড়িতে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। প্রেমিকার মৃত্যুসংবাদ জানতে পেরে ভেঙে পড়েন সন্তু। প্রেমিকার এই পরিণতির পর বৃহস্পতিবার সকালে সিঙ্গুরের ন’পাড়ার বাড়িতে গলায় মাফলারের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই ঘটনায় দুই পরিবারে শোকস্তব্ধ। আত্মঘাতী সুস্মিতার মা আভা ঘোষ জানান, অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়িতে টিউশন পড়ায়। তারপর রাতে বুঝতে পারেন বড় বিপদ হয়ে গিয়েছে। আভাদেবী ভেবে পাচ্ছেন না মেয়ে কেন আত্মহত্যা করল?
অন্যদিকে মৃতের বাবা অশোক গুছাইত অবশ্য স্বীকার করে নেন তার ছেলে বিবাহিত হওয়া স্বত্ত্বেও অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। ওই তরুণীর মৃত্যুসংবাদ শোনার পরই ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে তার ধারণা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা বেজে যাওয়ার পর সন্তু ঘর থেকে বের না হওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। তারা ঘরের জানালার কাচ ভেঙে দেখতে পান সন্তু গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।
এমটিনিউজ/এসএস