আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় গেরুয়া-ঝড়ে উড়ে গেল বাম দুর্গ। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান। আঞ্চলিক দল আইপিএফটির সঙ্গে জোট বেঁধে টানা ২৫ বছরের বাম শাসনকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থীরা।
৫৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি জোট ৪৩টি আসনে জয়ী। কংগ্রেস এ রাজ্য কোনো আসন পায়নি। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সিপিএম ১৬টি আসনে জয় ধরে রেখেছে। বলা যায়, পুরো রাজ্যে গেরুয়া-ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল লাল দুর্গ। ত্রিপুরায় ঐতিহাসিক এ ফলাফল শেষে এখন আলোচনার বিষয় কে হতে যাচ্ছেন রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, একজন ব্যায়াম প্রশিক্ষকই হতে যাচ্ছেন এ রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী আর তিনি বিপ্লব দেব। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিপ্লব দেব। তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলটির সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি।
ত্রিপুরা বিজেপির দায়িত্ব পান ২০১৬ সালে ৭ জানুয়ারি। এই যুবনেতা মাত্র দুই বছরের মাথায় ২৫ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে লাল থেকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দিলেন ত্রিপুরাকে। অন্য অনেকের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আলোচনা থাকলেও অন্য অনেকের চেয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বিপ্লব দেব। তার হাতেই ত্রিপুরার ভার সঁপে দেওয়া হতে পারে। বিপ্লব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রস্তুত আছি। তবে দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা।’
বিপ্লব দেব ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পান ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি। এই যুবক নেতা মাত্র দুই বছরের মাথায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটালেন। ত্রিপুরা বিজেপির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার পরই ক্যারিশমা দেখালেন বিপ্লব। অমিত শাহ-মোদির জুটির আস্থা ছিল বিপ্লবের ওপর। সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ত্রিপুরার গোমতি জেলার উদয়পুরে জন্ম নেয়া বিপ্লবের পিতৃপুরুষের ভিটা বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কচুয়ার উপজেলার মেগদাই গ্রামে। বিপ্লবের স্ত্রী নীতি দেব পাঞ্জাবের মেয়ে। দিল্লিতে দুজনের বিয়ে।
বিপ্লব সম্পর্কে নীতি বলেন, ‘আমি সব সময় বিপ্লবকে নির্বাচনে সাহায্য করেছি। ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ায় ত্রিপুরায় আসতে পারিনি। তবে দল জেতায় এবার পাকাপাকি ত্রিপুরায় এসে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন নীতি।
এমটিনিউজ/এসএস