মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০১:৪৩:৫২

দুর্ঘটনার পর যেমন ছিল পরিস্থিতি, ভয়াবহ সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন এক সেনাসদস্য

দুর্ঘটনার পর যেমন ছিল পরিস্থিতি, ভয়াবহ সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন এক সেনাসদস্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  নেপালের কাঠমান্ডুতে সোমবার দুপুরে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রয়েছেন নেপালের নাগরিকও। নিহত নেপালিরা ফিরছিলেন বাড়িতে, বাংলাদেশিদের বেশ ক’জন ভ্রমণে যাচ্ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন ধরে যাওয়া বিমানটি থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। এরইমধ্যে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। অভিযানে যোগ দেয় নেপালের সেনাবাহিনী।

►►দুর্ঘটনার পর যেমন ছিল পরিস্থিতি, ভয়াবহ সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন এক সেনাসদস্য:-

ওই অভিযানে থাকা বালকৃষ্ণ উপাধ্য নামে এক সেনাসদস্য জানান, নেপালিরা ‘বাঁচাউ, বাঁচাউ’ বলে চিৎকার করছিলেন। আর বাংলাদেশিরা ইংরেজিতে বলছিলেন, ‘হেল্প মি, প্লিজ হেল্প মি।’

তারা ভাষায় পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কাঠমান্ডুতেই ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক জেফরি জেটলম্যান, ঘটনাস্থল থেকে মোটামুটি তিন মাইল মতো দূরে। নেপালি সাংবাদিক ভদ্র শর্মা নিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের দিকে ছোটেন। বিমানবন্দরের গেটের কাছে পৌঁছে তিনি দেখতে পান পুড়তে থাকা বিমানটির আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।

দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাকে ও কয়েকজন নেপালি ফটো সাংবাদিককে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটিতে তার পিকআপে নিয়ে যান। জেফরি যখন পৌঁছান তখন সেখানে প্লাস্টিক পোড়ার দুর্গন্ধ ছিল, খুবই বিষাক্ত। রানওয়ে থেকে ছিটকে যে মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তার কোনো কোনো অংশের ঘাস পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল, কোথাও আবার ঘাস উঠে গিয়েছিল। মাঠ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ছেঁড়া কাগজ, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন সিট।

বিমানের শেষের দিকের বড় একটি অংশসহ বেশ কিছু অংশ আগুনে পোড়েনি। তবে বিধ্বস্ত বিমানটির বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উদ্ধারকারীদের প্রথম দলটি পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বিমানের সামনের অংশ দিয়ে তারা বের করে আনছিলেন। ঠিক তখনই বিমানের পেছনের দিকে তীব্রভাবে আগুন জ্বলে ওঠে।

বিমানবন্দরের কর্মচারী কৈলাশ অধিকারী বলেন, বিস্ফোরণের মতো একটা শব্দ হয়। আগুন নেভাতে ১৫ মিনিট সময় নেন দমকল কর্মীরা। দমকল বাহিনী আরও আগে কাজ শুরু করলে আরও অনেককে বাঁচানো যেত বলে উদ্ধারকারীদের কয়েকজন জেফরি জেটলম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর চলে সাইরেন বাজিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ঢোকা আর বের হওয়া। এক ঘণ্টা ধরে ধোঁয়া বের হয়ে ধ্বংসাবশেষ থেকে। ঠিক কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও পাইলট ও এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যে যোগাযোগে কোনো বিভ্রান্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে