সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের এমএএমসি লাগোয়া দক্ষিণপল্লিতে স্থানীয় এক তৃণমুল নেতার অবৈধ সম্পর্কের জেরে সোমবার রাতে রণক্ষেত্র গোটা এলাকা। কার্তিকচন্দ্র দাস নামে ওই তৃণমুল নেতাকে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
তার জেরেই ওই নেতার অনুগামীরা হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। আহত প্রায় ৫-৬ জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতভর পুলিশ পিকেট দেখা যায় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নিউটাউনশিপ থানা এলাকায় জয়ন্তী দাশগুপ্ত নামে এক মহিলা তাঁর সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তাঁর স্বামী ভিন রাজ্যে চাকরি করেন। আর সেই সুযোগে তৃণমূল নেতা কার্তিকচন্দ্র দাস ওরফে কালু ওই মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে যায় বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। কালু ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লাভলি রায়ের অনুগামী বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ।
জয়ন্তী দাশগুপ্তর ননদ রেখা দাশগুপ্তর অভিযোগ, “কালুর সঙ্গে জয়ন্তীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁরা যখন দীঘা যায় তারপর থেকে। আমি একদিন ভোররাতে কালুকে ওর বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেছিলাম তাই আমাকেও কালুর বন্ধুরা কুপ্রস্তাব দেয়। এরা সবাই তৃণমুল কংগ্রেস করে।”
এলাকার এক যুবতীর দাবি, “এই কালু প্রায়ই আসে এই মহিলার বাড়িতে। এদিনও যখন আসে তখন আমরা যাই। সেখানে দুজনকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখি। দরজায় তালা দিয়ে পুলিশকে ডাকা হয়। এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে এরা। কালু কাউন্সিলর লাভলি রায়ের লোক।” ঘটনাস্থলে আসে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ।
কালুকে এবং স্থানীয় মহিলারা জয়ন্তী দাশগুপ্তকে মারধর করতে করতে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দক্ষিণপল্লির পাশের বাউড়িপাড়ায় থাকে কালু। পুলিশ ওই দুজনকে নিয়ে যাওয়ার পরেই বাউড়িপাড়া থেকে বেশ কয়েকজন এসে আচমকা দক্ষিণপল্লিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এরা নিজেদের কে কালুর অনুগামী বলে।
এরপরে দুপক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘটনায় ৫-৬ জন আহত হন। ঘটনাস্থলে ফের পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দুপক্ষের আহতদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকা থমথমে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।-সংবাদ প্রতিদিন
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস