আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে ঘুরতে আসা বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সুখবর। সিকিম, লাদাখ সহ ভারতের নানাবিধ পর্যটনস্থলে প্রবেশের ক্ষত্রে উঠে যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, লাদাখ কিংবা হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিটি বা কিন্নর উপত্যকার মতো যে সব এলাকায় অবাধে যাতায়াত করতে পারতো না বাংলাদেশি পরযটকেরা। খুব শীঘ্রই লঘু হতে চলেছে সেই নিয়ম। এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
প্রতি বছর কয়েক লক্ষ পর্যটক বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। নিয়মের গেরোয় তাঁদের কাছে অধরা থেকে যায় নানান সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান। সেই বাধা এবার কাটতে চলেছে। নানা ধরনের স্পর্শকাতরতার কারণে অরুণাচল প্রদেশ বা সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হলে তাদের ‘ইনার লাইন পারমিট’ নিতে হয় বিদেশী পর্যটকদের। চিন এবং পাকিস্তান ছাড়া বাকি সব দেশের নাগরিকদের জন্য সেই নিয়ম শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তাঁর কথায়, “চীন আর পাকিস্তান ছাড়া বাকি সব দেশের পর্যটকদের জন্যই আমরা এই সুবিধা চালু করতে যাচ্ছি।
আর ভারতে এখন যে দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন সেটি হলো বাংলাদেশ; কাজেই বাংলাদেশি নাগরিকরাই এতে সবচেয়ে লাভবান হবেন ধরে নেওয়া যায়।” কিরেন রিজিজু বলেন, ‘এই পারমিট প্রথা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। পারমিট ছাড়াই ভিনদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সবচেয়ে উৎসাহী অরুণাচল, কাজেই নতুন পদ্ধতি সম্ভবত সবচেয়ে আগে চালু হবে ওই রাজ্য থেকেই। তাওয়াংয়ের বৌদ্ধ মনাস্টারি বা সুংগেটসের লেক দেখতে বিদেশিদের আর কোনও পারমিটের প্রয়োজন হবে না।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিজের রাজ্য অরুণাচলের পর একে একে সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং রাজস্থানের নানা এলাকাকেও পারমিট-মুক্ত ভ্রমণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। নতুন ব্যবস্থায় বিদেশি পর্যটকদের গতিবিধির ওপর কীভাবে নজর রাখা হবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ওই সব রাজ্যের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। -কলকাতা২৪*৭
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস