স্কাইপতে আড্ডা, তবু লাপাত্তা সালাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বন্ধুরা বলছেন, এখনও ব্রাসেলসেই গা-ঢাকা দিয়ে আছে সালাহ আবদেসালাম। আর সেখান থেকেই সে সিরিয়া পালানোর ছক কষছে। সম্প্রতি স্কাইপ-এ তাঁরা নাকি কথাও বলেছেন এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির সঙ্গে। পুলিশ তবু অন্ধকারে। হামলার দশ দিন পরেও গ্রেফতার হয়নি মূল সন্দেহভাজন। দেশ জুড়ে আগামী দিনে পুলিশি অভিযান তাই আরও জোরদার হবে বলে জানিয়েছে বেলজিয়াম প্রশাসন।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গত কাল রাত থেকে তল্লাশি চালিয়ে আরও ২১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বেলজিয়াম পুলিশ। অভিযান চলে জঙ্গিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোলেনবিক প্রদেশেও। সেখানে দুই সন্দেহভাজন গাড়ি করে পালানোর সময় গুলি চালায় পুলিশ। তাতে এক জন আহত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর পাওয়া গেছে। ধরা পড়েছে দু’জনেই। কাল ব্রাসেলস-লাগোয়া ২২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। কোনও বিস্ফোরক বা অস্ত্রের সন্ধান না মিললেও আতঙ্ক কাটছে না। পলাতক সালাহ-কে ঘিরেই চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। সম্প্রতি তাকে বিলাসবহুল একটি গাড়িতে করে জার্মানির দিকে এগোতে দেখা গিয়েছে বলেও একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর দিয়েছে।
প্যারিসের ধাঁচে যে কোনও সময় হামলা হতে পারে ব্রাসেলসে। এই আশঙ্কায় দেশ জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল। গত কয়েক দিনের মতো আজও বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। সুনসান রাস্তাঘাট, বাজার-মল। ব্যাহত মেট্রো রেল পরিষেবাও। প্রশাসনের দাবি, সালাহ-কে পাকড়াও করে দেশকে দ্রুত ছন্দে ফেরাতেই এই ব্যবস্থা। ফরাসি তদন্তকারীদের বক্তব্য, সিরিয়া থেকে ছক কষা হলেও, প্যারিসে হামলা চালানো হয়েছিল বেলজিয়াম থেকেই।
সে দিন স্তাদ দো ফ্রসেঁ স্টেডিয়ামের বাইরে তৃতীয় আত্মঘাতী জঙ্গিকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আদতে সে কোন দেশের নাগরিক, তা জানতে আজ তার ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন তদন্তকারীরা। জরুরি অবস্থার মধ্যে সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে ফ্রান্সেও। একই সঙ্গে সিরিয়ায় আইএস দমনে চলছে বিমান হামলা। জঙ্গি নিধনে আমেরিকা ও রাশিয়াকে আগেই পাশে পেয়েছে ফ্রান্স। এ বার বিমান হানায় পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও।
২৪, নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ