আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে প্রেম পরে বিয়ে করার খেসারত দিতে হলো প্রাণ দিয়ে। গত বৃহস্পতিবারই মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বনলতা আউরির পচাগলা মরদেহ। পুলিশ মনে করছে, প্রায় আড়াই মাস আগে তাকে খুন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকেই ওই নারীর স্বামী পলাতক আছেন। স্বামীর নাম বাপন বাউড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদ থানার মানকর দক্ষিণ রায় পাড়ায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বাপনের তিনজন স্ত্রী। প্রথম বিয়ের পরে দুর্গাপুরের গোপালমাঠে ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যায় বাপন। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় বিবাহিত বনলতা বাউরির।
বিবাহিত হলেও গোপালমাঠ এলাকার বাপের বাড়িতে থাকতেন তিনি। বাপনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকলে দু’জনের বিয়ে হয়। পরে বাপনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন বনলতা।
বনলতাকে বিয়ে করার পরে আবারো একজনকে বিয়ে করে বাপন। তিন স্ত্রী ও মোট ছয় সন্তানকে নিয়ে মানকরে থাকতে শুরু করে বাপন।
এরপর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি, বাপন এলাকাবাসীদের জানায়, বনলতা নিখোঁজ, বহু জায়গায় খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
অথচ বৃহস্পতিবার সকালে বাপনের পাশের বাড়ির সদস্যরা প্রাচীর সারানোর জন্য মিস্ত্রি ডাকে। মিস্ত্রিরা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করলে পচা গন্ধ পান, আরো একটু খুঁড়তেই জানা গেল আসল তথ্য, বনলতার মরদেহ পান তারা। খবর দেওয়া হয় বুদবুদ থানায়।পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে প্রাচীর সারাতে খোঁড়াখুড়ি করার কথা আগের দিনই জানতে পারে বাপন। সে কারণে বাড়ির সবাইকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায় সে। প্রতিবেশীদের ধারণা, বাপন ও তার অন্য দুই স্ত্রী মিলে খুন করেছে বনলতাকে। ইতোমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাপনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস