আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামনে স্ট্রেচারে কাতরাচ্ছেন রোগী। আর ওয়ার্ড মাস্টার মগ্ন ফেসবুকে। এইভাবেই কেটে গেল ২ ঘণ্টা। আর তাতেই চরম পরিণতি।
ছিল পেটে অসহ্য ব্যাথা কিন্তু মহিলার প্রাণ কাড়ল ফেসবুকের এই পেজ! কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ার বাসিন্দা শম্ভু কুমার ঝা তার স্ত্রী মঞ্জু দেবীকে গত রবিবার পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রোগীর রিপোর্ট দেখে চিকিত্সক দ্রুত আইসিইউ- তে ভর্তির পরামর্শ দেন। অভিযোগ , সেইসময় কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাস্টার পাক্কা দুঘণ্টা হাসপাতালে আটকে রাখেন। এরপরেই তিনি ফেসবুক করায় মগ্ন হয়ে যান।
ঘণ্টা দুয়েকবাদে অ্যাম্বুলান্স এলে রোগীকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিবার।
ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ দায়ের হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস হাসাপাতাল সুপারের। -জিনিউজ
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস