শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩৫:৫৮

ইতিহাস তৈরি করে দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম

ইতিহাস তৈরি করে দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাস তৈরি করে দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম! ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে যে সামরিক রেখা এই উপদ্বীপকে বিভক্ত করে রেখেছে, উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা হিসেবে ওই রেখা পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রেখেছেন কিম জং-উন।

আলোচনা শুরুর আগে মুখে হাসি নিয়ে হাত নেড়ে সীমান্তে কিমনে স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্য-ইন। আলোচনাস্থলে পৌঁছানোর পর কিম বলেন, তিনি খোলামেলা আলোচনা প্রত্যাশা করছেন।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ রাখার বিষয়ে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন ঐতিহাসিক এই আলোচনায় সে বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সীমান্তের দু’পাশে ডিমিলিটারাইজড জোনে হাত মেলান কিম ও মুন। প্রতিকী এ করমর্দনকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

অপ্রত্যাশিতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টও এসময় সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন। এরপর মুন কিমকে বলেন, আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে আমি আনন্দিত। দক্ষিণ কোরিয়াতে দুই নেতাকে অনার গার্ড দেয়া হয়। এরপর আলোচনা শুরু করতে পানমুনজমের পিস হাউসে ঢোকেন দুই নেতা। সেখানকার গেস্টবুকে কিম লেখেন, নতুন ইতিহাসের শুরু হলো।

হোয়াইট হাউস বলছে, এ আলোচনা শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে তারা আশাবাদী। আসছে জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার আগে এ বৈঠককে ‘ভূমিকা’ বলে মনে করা হচ্ছে। এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে বৈঠক করেননি।

দুই কোরিয়ার শীর্ষ এ আলোচনায় কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টিই উঠে আসবে। সিউল আগেই সতর্ক করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজটা সহজ হবে না। এক দশকেরও বেশি সময় আগে দুই কোরিয়ার নেতারা যখন সর্বশেষ বসেছিলেন, তারপর এতদিনে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে।

কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে সম্পর্ক উন্নয়নের পর আজকের এ আলোচনা বাস্তব হয়েছে। ঐতিহাসিক এ আলোচনায় কিমের সঙ্গে তার বোন কিম ইয়ো-জং ছাড়াও ৯ কর্মকর্তা রয়েছেন।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে