শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:৫৭:৫২

কঠোর নিরাপত্তায় কিমের দক্ষিণ কোরিয়া সফর

কঠোর নিরাপত্তায় কিমের দক্ষিণ কোরিয়া সফর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কঠোর নিরাপত্তায় কিমের দক্ষিণ কোরিয়া সফর! উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন ঐতিহাসিক সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন। এবারের সফরে তার নিরাপত্তার বিষয়টি বহু রাষ্ট্রনেতার নিরাপত্তাকেও ছাপিয়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজিরবিহীনভাবে কঠোর করে তুলেছে।

দুই কোরিয়ার বহুল কাঙ্ক্ষিত ও ঐতিহাসিক বৈঠক শুরু হয় শুক্রবার সকালে। এতে নেতৃত্ব দেন দুই দেশের নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিকীকৃত এলাকা (ডিমিলিটারাইজড জোন) পানজুনজাম গ্রামের পিস হাউসে বৈঠকটি শুরু হয়েছে।

কিম যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেন, তখন তার চারপাশ ঘিরে ছিল সতর্ক সেনাদের বিশাল ব্যূহ। চৌকষ সেনাদের একটি দল তার সঙ্গে সর্বদা ছিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার পেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে কিমের মিলিত হওয়ার সময় তাদের কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়।

প্রথমেই দেখা যায়, সুন্দর পরিচ্ছন্ন পোশাক, নীল ও সাদা ডোরা দাগের টাই পরা লোকজন কিমকে ঘিরে রেখেছেন। তিনি যখন সামরিক সীমারেখা পার হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন, তখন তার নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল এমন যে একটি পিঁপড়ারও এসব লোকের চোখ এড়িয়ে কিমের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

কিমের সঙ্গে থাকা সেনাদের নানা সামরিক কৌশল ও মার্শাল আর্টে দক্ষ। এসব দক্ষতা বিবেচনা করেই সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে কিমের দেহরক্ষী হিসেবে তাদের পছন্দ করা হয়েছে।

দুই নেতা সকালের বৈঠক শেষ করলে স্ফীত পকেটের লেপাল ব্যাজ পরা একডজন লোক তাদের লাঞ্চের আগে কার্যক্রম শুরু করেন। কিমের অফিসিয়াল গাড়ির আশপাশে তারা জগিং করে এক ধরনের মানব ঢাল তৈরি রাখেন। এ সময়ে তাদের গলার টাই থেকে টপ টপ শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

শুধু উত্তর কোরিয়া নয়, দক্ষিণ কোরিয়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। কিম যেখানে উপস্থিত থাকবেন, সেখানে কোনো বিদেশি অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে কয়েক ঘণ্টার নিরাপত্তা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও ফোন অবশ্যই সমর্পণ করে দিতে হবে।

উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জন ইলের নিরাপত্তাব্যবস্থায় কাজ করা রি ইয়ং গুক বলেন, বিদেশ ভ্রমণ, সামরিক ইউনিট ও খামার পরিদর্শনের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ছয় স্তূরের নিরাপত্তা দেয়া হয়। তিনি বলেন, এটিকে পৃথিবীর অন্যতম এক কঠোর নিরাপত্তার চাদর বলা যায়। যার ভেতর দিয়ে একটি পিঁপড়াও প্রবেশ করতে পারে না।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে